মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষীদের আগের মতোই ফেরত পাঠানো হবে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদছবি: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সৌজন্যে

পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেছেন, মিয়ানমার থেকে আবারও যে সীমান্তরক্ষীরা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন, তাঁদের আগের মতোই ফেরত পাঠানোর লক্ষ্যে কাজ করছে সরকার। আজ মঙ্গলবার দুপুরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ তথ্য জানান।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, এখন পর্যন্ত নতুন করে মিয়ানমারের বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) ১৭৭ জন বাংলাদেশে প্রবেশ করেছেন। কয়েক বেসামরিক নাগরিক আসার চেষ্টা করেছিলেন, তবে তাঁদের ফেরত পাঠানো হয়েছে।

হাছান মাহমুদ বলেন, ‘মিয়ানমার থেকে আগেও তাদের সীমান্তরক্ষী ও সেনাবাহিনীর সদস্য এবং তাদের পরিবারেরও কয়েক সদস্য আশ্রয় নিয়েছিলেন। মিয়ানমার সরকারের সাথে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে আমরা তাদের ফেরত পাঠিয়েছি। এবারও তা-ই করা হচ্ছে। মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ, বিশেষ করে সীমান্তবর্তী অঞ্চলে উদ্ভূত পরিস্থিতির জন্যই বারবার এমন অবস্থা তৈরি হচ্ছে।’

মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে ডাকা হবে কি না, জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তাদের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রয়েছে। প্রয়োজনে রাষ্ট্রদূতকে ডাকা হবে, এখনো ডাকা হয়নি।

ঢাকায় নিযুক্ত মালয়েশিয়ার হাইকমিশনার হাজনাহ মুহাম্মদ হাশিমের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মালয়েশিয়ায় কর্মরত বাংলাদেশিদের কল্যাণ ও কর্মসংস্থান বৃদ্ধি, বাংলাদেশে বিনিয়োগে ৮ম সর্বোচ্চ দেশ মালয়েশিয়া থেকে আরও বিনিয়োগ, আসিয়ান দেশগুলোর ডায়ালগ পার্টনারশিপের জন্য বাংলাদেশের আবেদনসহ দ্বিপক্ষীয় বিষয়াদি বৈঠকে স্থান পেয়েছে।

‘সামগ্রিক বাজার ব্যবস্থাপনার পরিকল্পনা চলছে’

সরকারের কঠোর অবস্থানের পরও বাজারে জিনিসপত্রের দাম বেশি রাখা হচ্ছে, এমন মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে জনরোষ তৈরি হয়েছে, এটাই আমাদের শক্তি। পাশাপাশি সরকার সামগ্রিক বাজার ব্যবস্থাপনার একটি পরিকল্পনা করছে, যাতে ব্যবসায়ীরা যা ইচ্ছা তা-ই করতে না পারে।’

এ ক্ষেত্রে ব্যবসায়ীদের মানসিকতা একটি বিষয় উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, চট্টগ্রামের বাজারে যে ফুলকপি ২০ টাকা, সেটিই বসতবাড়ির গলিতে ৬০ টাকা হাঁকে ভ্যানে করে বিক্রেতারা। ২০ টাকার কপি বহন খরচসহ ৩০ টাকা হতে পারে, কিন্তু ৬০ টাকা চাওয়া অতিরিক্ত। এটি মানসিকতার ব্যাপার।

হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আশা করি, পবিত্র রমজানে ব্যবসায়ীদের শুভবুদ্ধির উদয় হবে, তারা অতিরিক্ত মুনাফা করার প্রবণতা থেকে বিরত থাকবে।’

‘বিএনপির অভিযোগ হতাশা থেকে’

বিএনপির কিছু নেতা বলছেন, জেল থেকে মুক্তি পেলেও তারা পুরো মুক্ত নন, বাক্‌স্বাধীনতা নেই। এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বিএনপির নেতারা সকাল-বিকেল সরকারের বিরুদ্ধে বিষোদ্‌গার করে, সরকারকে টেনে নামিয়ে ফেলবে বলে, তারা বলছে—বাক্‌স্বাধীনতা নেই! আসলে নির্বাচনের পর চরম হতাশার মধ্যে এসব কথা বলে তারা দলটা টিকিয়ে রাখতে চায়মাত্র, অন্য কিছু নয়।’