চট্টগ্রামে আউটার স্টেডিয়ামের স্থাপনা উচ্ছেদ

আউটার স্টেডিয়ামের দুই পাশে গড়ে ওঠা স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে
ছবি: সৌরভ দাশ

চট্টগ্রাম নগরের কাজীর দেউড়ি আউটার স্টেডিয়ামের দুই পাশে গড়ে ওঠা স্থাপনা উচ্ছেদ শুরু করেছে জেলা প্রশাসন। আজ রোববার বেলা ১১টা থেকে এই উচ্ছেদ কার্যক্রম শুরু হয়।

এ পর্যন্ত প্রায় ১৫টি স্থায়ী ও ভাসমান দোকান উচ্ছেদ করা হয়েছে। খেলার মাঠ দখলমুক্ত করার প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার অংশ হিসেবে এই উচ্ছেদ কার্যক্রম চলছে বলে জেলা প্রশাসন থেকে জানানো হয়।

অভিযানে নেতৃত্ব দেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জ্যেষ্ঠ সহকারী কমিশনার নু এমং মারমা মং। তাঁকে সহযোগিতা করেন পুলিশ সদস্যরা।
অভিযানে আউটার স্টেডিয়ামের পূর্ব ও উত্তর পাশের সীমানা দেয়াল ধরে গড়ে ওঠা স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। এর মধ্যে বাগান বিলাস নামে একটি রেস্তোরাঁ রয়েছে। এ ছাড়া কাজীর দেউড়ি নার্সারি, জুসের দোকানসহ আরও কিছু ছোটখাটো খাবারের দোকান রয়েছে।

এই জায়গাগুলো চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থার (সিজেকেএস) বলে দাবি করেছে জেলা প্রশাসনের ম্যাজিস্ট্রেট।

জ্যেষ্ঠ সহকারী কমিশনার নু এমং মারমা মং বলেন, প্রধানমন্ত্রী খেলার মাঠ দখলমুক্ত করার নির্দেশনা দিয়েছেন। তার অংশ হিসেবে জেলা প্রশাসক এই এলাকা পরিদর্শন করে তাঁদের সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন। এরপরও তাঁরা সরেননি। তাই এই উচ্ছেদ কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। জায়গা সিজেকেএসের।

উচ্ছেদের সময় এম এ হোসাইন নামের এক ব্যক্তি আদালতের কাগজপত্র দেখাতে চাইলে ম্যাজিস্ট্রেট তার সুযোগ নেই বলে জানিয়ে দেন। এম এ হোসাইন এই জায়গা ইজারার মাধ্যমে সৌন্দর্যবর্ধনের দায়িত্ব পান বলে দাবি করেন। তিনি বলেন, ২০১৮ সালে সিটি করপোরেশন সৌন্দর্যবর্ধনের অংশ হিসেবে বাগান বিলাসসহ এই স্থাপনাগুলো নির্মাণের অনুমতি দিয়েছিল তাঁকে। তখন মেয়র ছিলেন আ জ ম নাছির উদ্দীন। তিনি আবার সিজেকেএসের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।

এম এ হোসাইন আরও বলেন, ‘এখন বলা হচ্ছে এগুলো স্টেডিয়ামের জায়গা। আমার ক্ষতি কে পুষিয়ে দেবে। অনেক টাকা বিনিয়োগ করেছি আমি।’

এ বিষয়ে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম বলেন, নগর পরিকল্পনা বিভাগ থেকে ওখানে সৌন্দর্যবর্ধন করা হয়।

এ বিষয়ে জানতে নগর পরিকল্পনাবিদ আবদুল্লাহ আল ওমরকে ফোন করা হলে তিনি মিটিংয়ে আছেন বলে ফোন রেখে দেন।