মাছ চাষ করে আয় বাড়িয়েছেন জাহাঙ্গীর কবির নানক

জাহাঙ্গীর কবির নানকফাইল ছবি

মাছ চাষ ও বাড়ি-দোকান ভাড়া থেকে আয় বাড়িয়েছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক। ২০১৪ সালে এসব খাতে তাঁর কোনো আয় ছিল না। এখন মৎস্য খাত থেকে বছরে ৯০ লাখ ২৬ হাজার টাকা আয় করেন তিনি। আর ভাড়া থেকে আয় প্রায় ৮০ লাখ টাকা।

দশম ও দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের জন্য দাখিল করা হলফনামা পর্যালোচনা করে এমন তথ্য পাওয়া গেছে। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-১৩ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হয়েছেন জাহাঙ্গীর কবির নানক। এর আগে একই আসনে ২০০৮ সালে ও ২০১৪ সালে দশম সংসদ নির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তিনি। তবে ২০১৮ সালের নির্বাচনে তিনি দলের মনোনয়ন পাননি।

হলফনামায় দাখিল করা সম্পদের বিবরণীতে নানক জানিয়েছেন, মৎস্য খামার উত্তরাধিকার সূত্রে পেয়েছেন তিনি। তাঁর উত্তরায় একটি ছয়তলা ভবন ও একটি ফ্ল্যাট আছে। মোহাম্মদপুরে আটতলা একটি ভবন ও একটি ফ্ল্যাট আছে। বরিশালে ৪ কোটি ২৯ লাখ ৭৯ হাজার ২৭৬ টাকার ভবন ও একটি টিনশেড বাড়ি আছে। স্ত্রীর নামে গ্রিন রোডে একটি ফ্ল্যাট আছে। আগে ব্যাংকে তাঁর দায় ছিল আড়াই কোটি টাকা। এটি বেড়ে এখন দুই কোটি ৮৬ লাখ টাকা হয়েছে। তাঁর স্ত্রী ও মেয়ের কাছে এখন প্রায় সোয়া দুই কোটি টাকার দায় আছে তাঁর।

পেশা হিসেবে আইন ব্যবসা ও কৃষি দেখিয়েছেন নানক। ২০১৪ সালের হলফনামায় কৃষি খাতে আয় দেখিয়েছিলেন ১ লাখ ২১ হাজার টাকা। এখন সেটি বেড়ে দাঁড়িয়েছে সোয়া দুই লাখ টাকা। আইন পেশা থেকে বছরে দুই লাখ টাকা ও স্থায়ী আমানতের লভ্যাংশ থেকে ২ লাখ ৭ হাজার টাকা আয় করেন।

তবে নগদ টাকা আগের চেয়ে কমেছে নানকের। ২০১৪ সালে তাঁর নগদ টাকা ছিল ১১ লাখ ৪৩ হাজার ও স্ত্রীর কাছে ছিল প্রায় ৮২ লাখ টাকা। এখন তাঁর হাতে নগদ টাকা আছে প্রায় তিন লাখ, তাঁর স্ত্রীর কাছে আছে প্রায় ৭৫ লাখ টাকা। আগে ব্যাংকে জমা টাকার পরিমাণ কিছুটা বেড়েছে আগের চেয়ে। বন্ড, ঋণপত্র, স্টক এক্সচেঞ্জে বিনিয়োগ ছিল ৩ লাখ ২০ হাজার টাকা, এখন আছে ২ কোটি ১৭ লাখ ৭০ হাজার টাকা। একই খাতে স্ত্রীর নামে বিনিয়োগ ছিল ১ কোটি ৪৪ লাখ ৩২ হাজার ৫৩৭ টাকা। এখন আছে পৌনে দুই কোটি টাকা।