স্মার্ট ডাকসেবার উদ্যোগ, আসছে ‘সাথী’

‘সাথী’ নামের একটি অ্যাপভিত্তিক সেবা চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে
ছবি: ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সৌজন্যে।

ঘরে বসেই সরকারি ডাকে পণ্য পাঠানো, ‘স্মার্ট মোবাইল ডাকঘর’ এবং ‘স্মার্ট পোস্ট বক্স’ সেবা চালু করতে যাচ্ছে সরকার। এ ছাড়া ভার্চ্যুয়াল সহকারী হিসেবে ‘সাথী’ নামের একটি অ্যাপভিত্তিক সেবাও চালু করা হচ্ছে। আজ মঙ্গলবার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের তথ্য বিবরণীতে এসব জানানো হয়েছে।  

তথ্য বিবরণীতে বলা হয়, তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্‌মেদ ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের দায়িত্ব পাওয়ার পর এসব সেবা কার্যক্রমের বিষয়ে নির্দেশ দেন। ৬ ডিসেম্বর পৃথক সভায় এসব স্মার্ট সেবা পরীক্ষামূলকভাবে চালু করার জন্য বলেছেন তিনি। উল্লেখ্য, গত ২৯ নভেম্বর জুনাইদ আহ্‌মেদ ডাক ও টেলিযোগাযোগের দায়িত্ব পান।

ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ জানিয়েছে, ডাক অধিদপ্তরের আওতায় ‘স্মার্ট আর্টিক্যাল কালেকশন’ (চিঠি, ডকুমেন্ট, পার্সেল) সেবা চালু করা যাবে। এই সেবার আওতায় নাগরিকেরা ডাকঘরে না গিয়েই অনলাইনে প্রেরক ও প্রাপকের ঠিকানা এবং প্রেরিত আর্টিক্যালের তথ্য পাবেন। ডাকঘরের রানাররা প্রেরকের ঠিকানায় গিয়ে আর্টিক্যাল সংগ্রহ করে তা ডাকযোগে পাঠানোর ব্যবস্থা নেবেন। শুরুতে রাজধানী ঢাকায় এই সেবা চালু হবে।

দেশের প্রধান বাণিজ্যিক কেন্দ্র থেকে দেশের যেকোনো ব্যবসায়ী, দোকান ও ভোক্তার ঠিকানায় পার্সেল পাঠানোর জন্য স্মার্ট মোবাইল ডাকঘর চালু করা হবে। এগুলো নিয়মিত ডাকঘরের বর্ধিত সেবা হিসেবে কাজ করবে। এখান থেকে পণ্য দেশের প্রধান শহরগুলোতে দুই কর্মদিবসের মধ্যেই পৌঁছে যাবে। প্রাথমিক পর্যায়ে ঢাকার প্রধান কয়েকটি পাইকারি বাজারে স্মার্ট মোবাইল ডাকঘর কার্যক্রম শুরু হবে বলে জানিয়েছে মন্ত্রণালয়।

এ ছাড়া অ্যাসপায়ার টু ইনোভেট (এটুআই) স্মার্ট পোস্ট বক্সের মাধ্যমে নাগরিকদের ডাকদ্রব্য পৌঁছে দেওয়া হবে। এই বক্সে ডাকদ্রব্য দেওয়ামাত্রই প্রাপক তাঁর মুঠোফোনে খুদে বার্তা পাবেন। পরবর্তী সময়ে নিজ পরিচয় নিশ্চিত করে নির্দিষ্ট বক্স থেকে তা সংগ্রহ করতে পারবেন প্রাপক। ২৪ ঘণ্টাই এ সেবা পাওয়া যাবে। প্রধান প্রধান জনবহুল এলাকায় ধারাবাহিকভাবে এই বক্সগুলো স্থাপন করা হবে।

তথ্য বিবরণীতে বলা হয়, অ্যাপলের ‘সিরি’ কিংবা অ্যামাজনের ‘অ্যালেক্সার’ মতো ভার্চ্যুয়াল সহকারী হিসেবে চালু করা হচ্ছে ‘সাথী’। এটুআইয়ের উদ্যোগে তৈরি এই অ্যাপ সব ধরনের মুঠোফোনে ডাউনলোডের জন্য বিটিআরসি সহযোগিতা করবে। অ্যাপটি মুঠোফোন নম্বরের সঙ্গে একীভূত করা থাকবে। এ ছাড়া জাতীয় হেল্পলাইন ৩৩৩-এর কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন (এআই) সহকারীকে জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এর সঙ্গে যুক্ত করে একটি সমন্বিত এআই সহকারী ব্যবস্থা গড়ে তোলা হবে।

সরকারি বিভিন্ন সেবার অর্থ পরিশোধের প্রক্রিয়া সহজ করতে ‘ডিরেক্ট অপারেটর বিলিং’ (ডিওবি) ব্যবস্থা চালুরও উদ্যোগ নিয়েছে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়। এ সেবার মাধ্যমে মুঠোফোনের গ্রাহকেরা বিভিন্ন ডিজিটাল সেবা, ইউটিলিটি বিল ইত্যাদির অর্থ পরিশোধ করতে পারবেন। এ সেবা চালু করতে বিটিআরসির নেতৃত্বে বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে কাজ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।