আশ্রয়কেন্দ্রে ছুটছেন সেন্ট মার্টিনের মানুষ

ঘূর্ণিঝড় মোখা থেকে নিরাপদে থাকতে হাসপাতালে আশ্রয় নিয়েছেন সেন্ট মার্টিনের বাসিন্দারা
ছবি: প্রথম আলো

ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে সাগর উত্তাল। এরই মধ্যে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি শুরু হওয়ায় সেন্ট মার্টিন দ্বীপের বাসিন্দারা আশ্রয়কেন্দ্রের দিকে ছুটছেন। আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে ১০ নম্বর বিপৎসংকেত জারির পর মাইকিং করে দ্বীপের বাসিন্দারের আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে বলা হয়। আজ শনিবার বেলা তিনটার পর থেকে স্থানীয় বাসিন্দারা ঘরবাড়ি ছেড়ে দ্বীপের ৩৭টি আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছেন।

সেন্ট মার্টিনের ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, রাত আটটা পর্যন্ত দ্বীপের হাসপাতাল, হোটেল, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও আশপাশের বিভিন্ন দোতলা হোটেলে প্রায় সাড়ে ৭ হাজার মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন।

আবহাওয়ার পরিস্থিতি খারাপ হওয়ায় আজ দুপুরের পর থেকে স্থানীয় লোকজন ঘরবাড়ি ছেড়ে আশ্রয়কেন্দ্রের দিকে ছুটে আসেন। তাঁদের একজন পশ্চিমপাড়ার বাসিন্দা নুরুল হক। তিনি বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড়ের আতঙ্কে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে হাসপাতালে আশ্রয় নিয়েছি। আশপাশের আরও অনেকে হাসপাতালে আছেন।’

আরও পড়ুন
স্থানীয় লোকজনকে আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে উদ্বুদ্ধ করতে প্রচার চালানো হয়
ছবি: প্রথম আলো

সেন্ট মার্টিন দ্বীপের গলাচিপার বাসিন্দা আজিজুর রহমান বলেন, ‘আগে এত ঘূর্ণিঝড় দেখেছি, কিন্তু কখনো আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়া হয়নি। এবার দ্বীপ ছেড়ে অনেকে টেকনাফে চলে গেছেন। তাই আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে আশ্রয়কেন্দ্রে চলে এসেছি।’
পরিবারের ২৩ জন সদস্যকে নিয়ে আশ্রয়কেন্দ্রে উঠেছেন স্থানীয় বাসিন্দা নূর মোহাম্মদ। তিনি বলেন, সঙ্গে কিছু প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও ওষুধ রাখা হয়েছে।

আরও পড়ুন

জানতে চাইলে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. কামরুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, ১০ নম্বর মহাবিপৎসংকেত জারি করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এ সংকেত জারি করার পর স্থানীয় লোকজনকে আশ্রয়কেন্দ্রে চলে যাওয়ার জন্য মাইকিং করা হয়েছে। পাশাপাশি দ্বীপের ৩৭টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। সেখানে আশ্রয় নিতে সবার প্রতি আহ্বান জানানো হচ্ছে।

আরও পড়ুন