এমপিওভুক্ত শিক্ষাব্যবস্থা জাতীয়করণের দাবি মেনে নিতে এক মাসের সময় দিলেন শিক্ষকেরা
বেসরকারি এমপিওভুক্ত স্কুল–কলেজ–মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষাব্যবস্থা জাতীয়করণের দাবি মেনে নিতে সরকারকে এক মাসের সময়সীমা বেঁধে দিয়েছে ‘এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোট’। এর মধ্যে দাবি পূরণ না হলে আগামী ১৫ ও ১৬ সেপ্টেম্বর তারা নিজেদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালন করার ঘোষণা দিয়েছে।
এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা সরকার থেকে মূল বেতন ও কিছু ভাতা পান।
আজ বুধবার শিক্ষা উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকের পর বেলা সাড়ে তিনটার দিকে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক সমাবেশ থেকে এ ঘোষণা দেন এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোটের সদস্যসচিব দেলোয়ার হোসেন আজীজি। তিনি বলেন, প্রয়োজন হলে কর্মবিরতি বাড়ানো হবে। এতেও দাবি পূরণ না হলে আগামী ১২ অক্টোবর থেকে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি পালনের হুমকি দিয়েছেন তিনি।
দেলোয়ার হোসেন আজীজি বলেন, ‘আশা করি, সরকারের শুভবুদ্ধির উদয় হবে। দাবি মানা হলে এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান স্থবির হয়ে যাবে।’
আজ সকাল সাড়ে ১০টা থেকে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনের সড়কে অবস্থান নিয়ে সরকারি নিয়মে বাড়িভাড়া, মেডিকেল ভাতা ও শ্রান্তি বিনোদন ভাতা প্রদান এবং সর্বজনীন বদলি চালুসহ এমপিওভুক্ত (স্কুল–কলেজ–মাদ্রাসা ও কারিগরি) শিক্ষাব্যবস্থা জাতীয়করণের দাবিতে শিক্ষক সমাবেশ ও সচিবালয় অভিমুখে পদযাত্রা কর্মসূচি পালন করা হয়। এরপর দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে প্রেসক্লাব থেকে সচিবালয়ে যাওয়ার পথে হাইকোর্টসংলগ্ন কদম ফোয়ারার সামনে শিক্ষকেরা পুলিশের বাধার মুখে পড়েন। পরে শিক্ষকদের একটি প্রতিনিধিদল সচিবালয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে যায়। আর অন্যরা প্রেসক্লাবের সামনের সড়কের এক পাশ অবরোধ করে অবস্থান নেন। এ সময় তাঁরা বিভিন্ন দাবিতে স্লোগান দেন।
প্রতিনিধিদল আলোচনা শেষে বেলা সাড়ে তিনটার দিকে প্রেসক্লাবের সামনে ফিরে আসে। এরপর পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। পরে জোটের আহ্বায়ক মাইন উদ্দিন আজকের কর্মসূচির সমাপ্তি ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, ‘শিক্ষকেরা এক হাজার টাকা বাড়িভাড়া পান। অথচ এটা হওয়ার কথা ছিল মূল বেতনের ৪৫ থেকে ৫০ শতাংশ। আমরা সচিবালয়ে দুটি প্রস্তাব দিয়েছি। আগামী দুই-এক দিনের মধ্যে সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব মন্ত্রণালয়ে জমা দেওয়া হবে।’
এদিকে কর্মসূচি সমাপ্ত হওয়ার পর প্রেসক্লাবের সামনের সড়কে যান চলাচল শুরু হয়।