কোম্পানীগঞ্জে উপজেলা পরিষদ
সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাইয়ের নির্বাচনে অংশ নেওয়ার পথ খুলল
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. শাহাদাত হোসেনের মনোনয়নপত্র বাতিলের সিদ্ধান্ত স্থগিত করে তার মনোনয়নপত্র গ্রহণ করে প্রতীক বরাদ্দ দিতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
প্রার্থিতা ফিরে পেতে তাঁর করা এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি মো. ইকবাল কবির ও বিচারপতি মো. আখতারুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ মঙ্গলবার রুলসহ এ আদেশ দেন। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই শাহাদাত হোসেন।
এর আগে মনোনয়নপত্রের সঙ্গে মামলার তথ্য না থাকা ও হলফনামায় অসম্পূর্ণ তথ্যসহ প্রয়োজনীয় তথ্য না দেওয়ায় যাচাই-বাছাই শেষে ৫ মে শাহাদাত হোসেনের মনোনয়নপত্র বাতিল করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। ওই ত্রুটি অনিচ্ছাকৃত উল্লেখ করে মামলার বিবরণসহ আপিল কর্তৃপক্ষের কাছে আপিল করেন তিনি। রিটার্নিং কর্মকর্তার মনোনয়নপত্র বাতিল আদেশ যথাযথ উল্লেখ করে আপিল কর্তৃপক্ষ ৯ মে আপিল নামঞ্জুর করে সিদ্ধান্ত দেন। মনোনয়নপত্র বাতিলের সিদ্ধান্তের বৈধতা নিয়ে প্রার্থিতা ফিরে পেতে শাহাদাত হোসেন হাইকোর্টে এই রিট করেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী একরামুল হক, সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী তামান্না ফেরদৌস। নির্বাচন কমিশনের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী শেখ মোহাম্মদ মোরশেদ, আইনজীবী খান মোহাম্মদ শামীম আজিজ ও তৌহিদুল ইসলাম।
পরে আইনজীবী একরামুল হক প্রথম আলোকে বলেন, শাহাদাত হোসেনের মনোনয়নপত্র বাতিল বিষয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও আপিল কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। মনোনয়নপত্র গ্রহণ করে শাহাদাত হোসেনকে প্রতীক বরাদ্দ দিতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। ফলে তাঁর নির্বাচনে অংশ নিতে আইনি বাধা নেই।
দলীয় নির্দেশনা অমান্য করে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই শাহাদাত হোসেন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছিলেন। তিনি ছাড়া এ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হন আরও তিনজন। তাঁরা হলেন সেতুমন্ত্রীর ছোট ভাই আবদুল কাদের মির্জার সমর্থিত প্রার্থী গোলাম শরীফ চৌধুরী, সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান এবং যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী আওয়ামী লীগ সমর্থক ওমর আলী। যাচাই-বাছাইয়ে তাঁদের তিনজনের মনোনয়নপত্র বৈধ বলে ঘোষিত হয়।