ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক ‘দৃষ্টান্ত স্থাপনকারী’: জয়শঙ্কর

ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর ও যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনিম
ছবি: সংগৃহীত

ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বলেছেন, আঞ্চলিক সহযোগিতার ক্ষেত্রে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক এ উপমহাদেশে ‘দৃষ্টান্ত স্থাপনকারী'। গত এক দশকে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের অগ্রগতি নিয়ে বলতে গিয়ে তিনি এ কথা বলেন।

বুধবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় লন্ডনে এক সংলাপে যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনিমের প্রশ্নের জবাবে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

নিরাপত্তা, আঞ্চলিক সংযোগ, অভিন্ন সমৃদ্ধি এবং ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল ইস্যুতে ভারতীয় পররাষ্ট্রনীতিতে বাংলাদেশের অগ্রাধিকার নিয়ে অনুষ্ঠানে জয়শঙ্করের কাছে জানতে চান সাইদা মুনা তাসনিম।

জবাবে জয়শঙ্কর বলেন, ‘বর্তমানে আমাদের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক ভারতীয় উপমহাদেশে আঞ্চলিক সহযোগিতার ক্ষেত্রে দৃষ্টান্ত স্থাপনকারী।’

ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, প্রতিবেশী সম্পর্ক নতুন করে গড়ার চেষ্টা করছেন তাঁরা। তবে এ ক্ষেত্রে তাঁদের পক্ষ থেকে একপক্ষীয় কিছু করা হয়নি। দুই দেশের মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতির উদাহরণ দিতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের সঙ্গে স্থল সীমান্ত সমস্যার সমাধান করা হয়েছে। যেটি অনেক বড় একটি ঘটনা।’

এস জয়শঙ্কর আরও বলেন, ‘সমুদ্রসীমা নিয়ে আমাদের মধ্যে মতানৈক্য ছিল। বিষয়টি নিয়ে পরে আমরা আদালতে যাই। আদালতের যে রায় হবে, সেটি মেনে নেওয়ার বিষয়ে আমরা উভয়ে একমত হই। শেষ পর্যন্ত সমুদ্রসীমা নিয়ে যখন রায় এল, তখন সেটি আমরা মেনেও নিয়েছি। যদিও অনেক কিছুই আমাদের পক্ষে ছিল না। এটি দুটি দেশ ও আঞ্চলিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে উদাহরণ।’

ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, গত এক দশকে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে একাধিক রেল যোগাযোগ ও একটি বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপিত হয়েছে। অপর দিকে উত্তর-পূর্বাঞ্চলে যোগাযোগের জন্য বাংলাদেশের বন্দরগুলো ব্যবহার করছে ভারত। এতে বন্দরে জাহাজ বেশি ভিড়ছে। সেখান থেকে বাংলাদেশ লাভবান হচ্ছে।

ভারত-চীন সম্পর্ক, কানাডার সঙ্গে ভারতের চলমান কূটনৈতিক টানাপোড়েন ও দেশটির সামাজিক-রাজনৈতিক পরিস্থিতিসহ বিস্তৃত বিষয় আলোচনায় স্থান পেয়েছে।