মানবতার শক্তিতে বিশ্বাসের শপথ নেওয়ার মধ্য দিয়ে শেষ হলো ১৪তম জাতীয় যুব রেড ক্রিসেন্ট স্বেচ্ছাসেবক ক্যাম্প ২০২২। বাংলাদেশসহ সাতটি দেশের ১ হাজার ৫০০ যুব স্বেচ্ছাসেবক অংশ নেন তিন দিনের এ জাতীয় ক্যাম্পে। এবারের ক্যাম্পের প্রতিপাদ্য ছিল ‘টেকসই ভবিষ্যতের লক্ষ্যে যুব নেতৃত্ব’।
আজ বুধবার বিকেলে জাতীয় স্কাউট প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের মাঠে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে ক্যাম্পের সমাপনী ঘোষণা দেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম। তিনি বলেন, বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি স্বেচ্ছাসেবামূলক কার্যক্রমে দেশের অন্যতম দৃষ্টান্ত স্থাপনকারী প্রতিষ্ঠান। মানবসেবায় প্রতিষ্ঠানটি বহুমুখী অবদান রাখছে।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির চেয়ারম্যান অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল এ টি এম আবদুল ওয়াহ্হাব। যুব সদস্যদের মধ্যে নেতৃত্বের বিকাশ ঘটাতে এবং সর্বস্তরে স্বেচ্ছাসেবার মনোভাব সৃষ্টিই এ ক্যাম্পের মূল লক্ষ্য বলে উল্লেখ করেন তিনি। বলেন, ক্যাম্পে অর্জিত জ্ঞান স্বেচ্ছাসেবকদের সুনাগরিক হিসেবে গড়ে উঠতে সাহায্য করবে।
সমাপনী অনুষ্ঠানে এক হাজারের বেশি স্বেচ্ছাসেবকের অংশগ্রহণে হয় জমকালো প্রদর্শনী। ১৮৫৯ সালে ফ্রান্স ও অস্ট্রিয়ার মধ্যকার সলফেরিনো যুদ্ধের পটভূমিতে নির্মিত নাটক মঞ্চায়িত হয়। ওই যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে বিশ্বব্যাপী শুরু হয় রেড ক্রস, রেড ক্রিসেন্ট আন্দোলন। পরে তাজুল ইসলাম ও এ টি এম আবদুল ওয়াহ্হাবের হাতে ক্যাম্পের ক্রেস্ট তুলে দেওয়া হয় এবং উত্তরীয় পরিয়ে দেওয়া হয়।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির চেয়ারম্যানের স্ত্রী আফরোজা শাহানী ওয়াহ্হাব ও ভাইস চেয়ারম্যান নূর-উর-রহমান। আরও উপস্থিত ছিলেন সোসাইটির ব্যবস্থাপনা পর্ষদের সদস্য, সোসাইটির মহাসচিব, উপমহাসচিব, বিভিন্ন বিভাগের পরিচালকসহ বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণের মধ্য দিয়ে ১৯ ডিসেম্বর শুরু হয় স্বেচ্ছাসেবক ক্যাম্প। তিন দিনের এ ক্যাম্পে বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় স্বেচ্ছাসেবকদের। বাংলাদেশ ছাড়াও ভুটান, মালদ্বীপ, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, ব্রুনেই ও পাকিস্তানের যুব স্বেচ্ছাসেবকেরা অংশ নেন সেখানে।