‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়তে বিশ্বব্যাংকের সহায়তা চায় সরকার

রোববার তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগে ‘বাংলাদেশের সঙ্গে বিশ্বব্যাংকের সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উদ্‌যাপন উপলক্ষে’ আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিশ্বব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (অপারেশনস) অ্যাক্সেল ভ্যান ট্রটসেনবার্গ ও তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্‌মেদসহ উপস্থিত অন্যরা
ছবি: সংগৃহীত

সরকার ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়ে তোলার ঘোষণা দিয়েছে। এ লক্ষ্যে বিভিন্ন প্রকল্পও হাতে নেবে। এসব প্রকল্প বাস্তবায়নে বিশ্বব্যাংকের সহায়তা চেয়েছে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ।

বাংলাদেশের সঙ্গে বিশ্বব্যাংকের সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগে রোববার এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন শনিবার তিন দিনের সফরে বাংলাদেশে আসা বিশ্বব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (অপারেশনস) অ্যাক্সেল ভ্যান ট্রটসেনবার্গ। সেখানেই এ সহায়তা চাওয়া হয়।

অনুষ্ঠানে ডিজিটাল বাংলাদেশ ও স্মার্ট বাংলাদেশ নিয়ে আলোচনা হয়। এ সময় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্‌মেদ বলেন, ‘স্মার্ট বাংলাদেশ: আইসিটি ২০৪১ মাস্টারপ্ল্যান’ বাস্তবায়নে স্মার্ট সিটিজেন, স্মার্ট গভর্নমেন্ট, স্মার্ট ইকোনমি ও স্মার্ট সোসাইটির আলোকে ৪০টির বেশি প্রকল্প নিতে যাচ্ছে সরকার।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ভবিষ্যতে নতুন একটি ‘ডেটা সেন্টার তৈরি করা হবে। এতে ৩০০ মিলিয়ন ডলার ব্যয় হবে। এ ছাড়া স্মার্ট লিডারশিপ একাডেমি প্রতিষ্ঠার জন্য ৫০ মিলিয়ন ডলার, শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব ও স্কুল অব ফিউচার প্রতিষ্ঠার জন্য ১০০ মিলিয়ন ও ৩৫টি শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং অ্যান্ড আইটি ইনকিউবেশন সেন্টার প্রতিষ্ঠার জন্য ৩০০ মিলিয়ন ডলারের প্রয়োজন হবে। স্মার্ট বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়নে বিশ্বব্যাংকের সহযোগিতা চান তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী।

বাংলাদেশে তথ্যপ্রযুক্তি খাতের বিকাশে বিশ্বব্যাংকের সহযোগিতা ও সমর্থন অব্যাহত থাকবে বলে জানান অ্যাক্সেল ভ্যান ট্রটসেনবার্গ। তিনি বলেন, বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন সহযোগী। অতীতের মতো বিশ্বব্যাংক ভবিষ্যতে বাংলাদেশের সঙ্গে একযোগে কাজ করতে আগ্রহী। তিনি স্টার্টআপ খাতের বিকাশে সরকারের নেওয়া বিভিন্ন উদ্যোগের প্রশংসা করেন। এ ছাড়া দেশের তরুণদের মেধাকে কাজে লাগানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেন অ্যাক্সেল ভ্যান ট্রটসেনবার্গ।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের (বিসিসি) নির্বাহী পরিচালক রণজিৎ কুমার, বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিকর্ণ কুমার ঘোষ, আইসিটি বিভাগের অতিরিক্ত সচিব খন্দকার আজিজুল ইসলাম, স্টার্টআপ বাংলাদেশের এমডি সামি আহমেদ, এনহ্যান্সিং ডিজিটাল গভর্নমেন্ট অ্যান্ড ইকোনমি (ইডিজিই) প্রকল্প পরিচালক মুহাম্মদ মেহেদী হাসান, বিশ্বব্যাংকের রিজিওনাল (এসএআর) ভাইস প্রেসিডেন্ট মার্টিন রেইজার প্রমুখ।