বিশ্ব ইজতেমা উপলক্ষে বিশেষ ট্রেন চালানোর ঘোষণা রেলওয়ের

রেল ভবনে সংবাদ সম্মেলনে রেলমন্ত্রী জিল্লুল হাকিম (বামে)ছবি: সংগৃহীত

বিশ্ব ইজতেমা উপলক্ষে মুসল্লিদের চলাচলের সুবিধার্থে বেশ কিছু বিশেষ ট্রেন চলাবে বাংলাদেশ রেলওয়ে।

এ ছাড়া বিশ্ব ইজতেমা উপলক্ষে বেশির ভাগ আন্তনগর ট্রেন টঙ্গী রেলস্টেশনে যাত্রাবিরতি দেবে।

আজ মঙ্গলবার ঢাকায় রেল ভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে রেলমন্ত্রী জিল্লুল হাকিম এসব তথ্য জানান।

বিশ্ব ইজতেমা পালনের সরকার নির্ধারিত জায়গা গাজীপুরের টঙ্গীর তুরাগতীরের মাঠ। তাবলিগ জামাতের বিবদমান বিরোধের কারণে এবারও বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হবে আলাদাভাবে।

মাওলানা জুবায়েরের অনুসারীরা ইজতেমা করবেন ফেব্রুয়ারির ২, ৩ ও ৪ তারিখে। পাঁচ দিন বিরতির পর মাওলানা সাদ কান্ধলভীর অনুসারীরা ইজতেমা করবেন ফেব্রুয়ারির ৯, ১০ ও ১১ তারিখে।

প্রথম পর্বের ইজতেমার আখেরি মোনাজাত হবে ৪ ফেব্রুয়ারি। দ্বিতীয় পর্বের ইজতেমার আখেরি মোনাজাত ১১ ফেব্রুয়ারি।

রেলওয়ের ঘোষণা অনুসারে, এই দুই দিন (৪ ও ১১ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা থেকে টঙ্গীর মধ্যে পাঁচ জোড়া ট্রেন চলাচল করবে। এ ছাড়া টঙ্গী-ময়মনসিংহ ও টঙ্গী-টাঙ্গাইলের মধ্যে একটি করে বিশেষ ট্রেন চলানো হবে। টঙ্গী ও ঈশ্বরদীর মধ্যে চালানো হবে দুটি বিশেষ ট্রেন।

রেলমন্ত্রী জানিয়েছেন, ২ ও ৯ ফেব্রুয়ারি ঢাকা-টঙ্গী পথে ‘জুম্মা স্পেশাল-২’ নামে এক জোড়া ট্রেন চলাচল করবে। আর ৩ ও ১০ ফেব্রুয়ারি জামালপুর-টঙ্গী পথে আরেকটি বিশেষ ট্রেন চালু করা হবে।

টঙ্গী স্টেশনে যাত্রাবিরতি

বিশ্ব ইজতেমা উপলক্ষে ১ থেকে ৪ ফেব্রুয়ারি এবং ৮ থেকে ১১ ফেব্রুয়ারি ঢাকা অভিমুখী সব আন্তনগর, মেইল, কমিউটার ট্রেন টঙ্গী স্টেশনে ৩ মিনিট করে যাত্রাবিরতি করবে।

৪ ও ১১ ফেব্রুয়ারি আখেরি মোনাজাতের দিন সুবর্ণ, সোনার বাংলা, কক্সবাজার ও পর্যটক এক্সপ্রেস ছাড়া সব আন্তনগর, মেইল, কমিউটার ট্রেন টঙ্গী স্টেশনে তিন মিনিট করে যাত্রাবিরতি করবে। অর্থাৎ, এই দুই দিন চারটি ট্রেন বাদে বাকি সব ট্রেন টঙ্গীতে থামবে।

এ ছাড়া ইজতেমার মুসল্লিদের সুবিধার্থে দুই পর্বের আখেরি মোনাজাতের দিন বলাকা কমিউটার, বনলতা এক্সপ্রেস ও সিল্কসিটি এক্সপ্রেস ট্রেনের চলাচলের সময় পরিবর্তন করা হবে।

সংবাদ সম্মেলনে রেলওয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ইজতেমা উপলক্ষে সব আন্তনগর, মেইল, এক্সপ্রেস, লোকাল ট্রেনে যাত্রী চাহিদা ও প্রাপ্যতা সাপেক্ষে অতিরিক্ত কোচ সংযোজন করা হবে।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব হুমায়ুন কবীর, রেলের মহাপরিচালক কামরুল আহসান ও অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন) সরদার সাহাদাত আলী।