প্রশিক্ষণ পাঠ্যক্রমকে সময়োপযোগী করে তোলার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবনে জাতীয় প্রশিক্ষণ কাউন্সিলের অষ্টম সভায় সভাপতিত্ব করেন। ঢাকা, ১৬ এপ্রিল
ছবি: পিআইডি

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০৪১ সালের মধ্যে দেশকে স্মার্ট বাংলাদেশে রূপান্তর করতে প্রশিক্ষিত জনসংখ্যার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছেন। একই সঙ্গে তিনি প্রযুক্তিগত অগ্রগতি বজায় রেখে প্রশিক্ষণ পাঠ্যক্রমকে যুগোপযোগী এবং সময়োপযোগী করার জন্য সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

গণভবনে জাতীয় প্রশিক্ষণ কাউন্সিলের (এনসিটি) অষ্টম সভায় আজ রোববার যোগ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী এ আহ্বান জানান।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘একটি জাতির উন্নয়নের জন্য শুধু প্রশিক্ষণের প্রয়োজন। বিশ্ব পরিবর্তনশীল। এখন প্রযুক্তির যুগ। প্রযুক্তিগত অগ্রগতির সঙ্গে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে।’ তিনি বলেন, তাঁর সরকার রূপকল্প ২০৪১-এর সঙ্গে সংগতি রেখে দেশকে একটি উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশে পরিণত করার পরিকল্পনা গ্রহণ করছে।

স্মার্ট বাংলাদেশ কী, তা নিয়ে প্রায়ই প্রশ্ন ওঠে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘প্রযুক্তিগত প্রশিক্ষণ দিয়ে আমরা একটি স্মার্ট জনসংখ্যা গড়ে তুলব। আমাদের অর্থনীতি হবে প্রযুক্তিভিত্তিক স্মার্ট অর্থনীতি। এমনকি আমাদের স্বাস্থ্য ও কৃষিও হবে প্রযুক্তিনির্ভর এবং যান্ত্রিক। আমরা এই সব জিনিসে স্মার্ট হতে চাই।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, এনসিটিকে প্রশিক্ষণ নীতিমালা প্রণয়নের পাশাপাশি পর্যালোচনা ও মূল্যায়ন এবং সময় উপযোগী করে তোলার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমাদের পর্যায়ক্রমে এগিয়ে যেতে হবে। আমরা সমগ্র জনসংখ্যাকে সম্পৃক্ত করে উন্নতি করতে চাই। কেউ পিছিয়ে থাকবে না এবং আমরা সবাইকে নিয়ে সমৃদ্ধির দিকে পা বাড়াব।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাঁর সরকারের অক্লান্ত পরিশ্রমে বাংলাদেশ একটি মর্যাদাপূর্ণ অবস্থানে পৌঁছেছে। বিশ্ব বর্তমানে বাংলাদেশকে সম্মান দেখাচ্ছে। এটি সবচেয়ে বড় অর্জন। তিনি আরও বলেন, তাঁর সরকার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পদাঙ্ক অনুসরণ করে দেশ পরিচালনা করায় বাংলাদেশ এত মর্যাদাপূর্ণ অবস্থানে পৌঁছেছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, যখনই রাজনৈতিক নেতারা ক্ষমতায় ছিলেন, বাংলাদেশ ব্যবসা-বাণিজ্য, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও প্রযুক্তির মতো প্রতিটি খাতে অলৌকিক উন্নয়ন প্রত্যক্ষ করেছে। তিনি বলেন, রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত ও ব্যবস্থাপনা ছাড়া কোনো দেশই উন্নতি করতে পারে না।

বাংলাদেশ কখনোই প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ সামরিক স্বৈরশাসনের অধীনে এমন অগ্রগতি প্রত্যক্ষ করেনি। তিনি বলেন, ‘দেশবাসীর এটা উপলব্ধি করা উচিত।’ প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি দাবি করতে পারি যে ২০০৯-২০২৩ সাল পর্যন্ত অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে, তা রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের মাধ্যমে হয়েছে।’