স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে তরুণদের জন্য ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব

দক্ষতা উন্নয়নের পাশাপাশি দেশে-বিদেশে তরুণ-তরুণীদের কাজের সুযোগ বাড়ানোর কথা বলা হয়েছে বাজেটে
ছবি: সৌজন্যে এটুআই

স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে যুবসমাজকে প্রস্তুত করতে গবেষণা, উদ্ভাবন ও উন্নয়নমূলক কাজে বাজেটে ১০০ কোটি টাকা বিশেষ বরাদ্দ রাখা হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তাফা কামাল প্রস্তাবিত ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেট উপস্থাপন করেন। এবারের বাজেটের শিরোনাম হচ্ছে ‘উন্নয়ন অভিযাত্রার দেড় দশক পেরিয়ে স্মার্ট বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা’।

স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনকে গুরুত্ব দিয়ে প্রস্তাবিত বাজেটে বলা হয়েছে, দক্ষতা উন্নয়নের পাশাপাশি দেশে-বিদেশে তরুণ-তরুণীদের কাজের সুযোগ বাড়ানো হবে। প্রথাগত কর্মসংস্থানের ধারণা থেকে বেরিয়ে তরুণ সমাজ যেন উদ্ভাবনী উদ্যোগ, নিজের ও সমাজের জন্য পরিবর্তনে নেতৃত্ব দিতে পারে, সে ধরনের প্রণোদনার সঞ্চার করতে চায় সরকার। তাই অনুকূল প্ল্যাটফর্ম তৈরি করে দেবে সরকার।

বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা ও উদ্ভাবন সেন্টারের মাধ্যমে ৮০ হাজার তরুণ-তরুণীকে অগ্রসর প্রযুক্তি (অ্যাডভান্স টেকনোলজি) ও উদ্ভাবনী বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। বাজেটে আরও বলা হয়েছে, স্টার্টআপ ও উদ্যোক্তা উন্নয়ন উপযোগী অবকাঠামো গঠন ও সুবিধাদি প্রদান করা হচ্ছে।

সরকার বিভিন্ন সময়ে বলেছে, স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনের চারটি মূল স্তম্ভ—স্মার্ট নাগরিক, স্মার্ট সরকার, স্মার্ট সোসাইটি ও স্মার্ট ইকোনমি। এবারের বাজেটেও বিষয়গুলোর উল্লেখ ছিল।

স্মার্ট নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার জন্য ২০২৬ সালের মধ্যে ২০ হাজার তরুণ-তরুণীকে অগ্রসর প্রযুক্তিতে প্রশিক্ষণের কাজ চলছে। এ ছাড়া জনপ্রতিনিধি ও সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের লিডারশিপ বিষয়ে, সাইবার সিকিউরিটি, ইমার্জিং টেকনোলজিসহ যুগোপযোগী বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিতে ডিজিটাল লিডারশিপ একাডেমি প্রতিষ্ঠা করা হবে।
স্মার্ট সরকার গঠনে সরকার যেসব উদ্যোগ নিয়েছে, তার পাশাপাশি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহারের মাধ্যমে নাগরিককে দ্রুততম সময়ে সর্বোত্তম সেবা প্রদান করবে।

স্মার্ট ইকোনমির অনুষঙ্গ হবে দ্রুত ও নিরাপদ লেনদেন, ক্যাশলেস সোসাইটি, স্টার্টআপ ইত্যাদি। স্মার্ট ইকোনমিতে ব্যবসা-বাণিজ্য, বিনিয়োগ সুবিধা দেশের সব নাগরিকের জন্য সমানভাবে হাতের নাগালের মধ্যে থাকবে। অন্যদিকে সবাইকে নিয়েই গঠিত হবে স্মার্ট সোসাইটি।

বাজেট উপস্থাপনায় অর্থমন্ত্রী বলেছেন, স্মার্ট বাংলাদেশে মাথাপিছু আয় হবে কমপক্ষে ১২ হাজার ৫০০ মার্কিন ডলার। যেখানে দারিদ্র্যসীমার নিচে থাকবে ৩ শতাংশের কম মানুষ আর চরম দারিদ্র্য নেমে আসবে শূন্যের কোঠায়। মূল্যস্ফীতি ৪ থেকে ৫ শতাংশের মধ্যে থাকবে। বাজেট ঘাটতি থাকবে জিডিপির ৫ শতাংশের নিচে এবং রাজস্ব-জিডিপি অনুপাত হবে ২০ শতাংশের ওপরে। এ ছাড়া বিনিয়োগ হবে জিডিপির ৪০ শতাংশ।

স্মার্ট বাংলাদেশে শতভাগ ডিজিটাল অর্থনীতি আর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিভিত্তিক সাক্ষরতা অর্জনের কথা বলা হয়েছে। সবার দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে যাবে। যোগাযোগব্যবস্থা হবে স্বয়ংক্রিয়। টেকসই নগরায়ণসহ নাগরিকদের প্রয়োজনীয় সব সেবা থাকবে হাতের নাগালে।