বিদেশি লবিস্ট ফার্ম ও ব্যক্তির মাধ্যমে যুদ্ধাপরাধের বিচার প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা হচ্ছে

সেক্টর কমান্ডারস ফোরাম

সেক্টর কমান্ডারস ফোরাম–মুক্তিযুদ্ধ’৭১ বলেছে, একজন যুদ্ধাপরাধীর মৃত্যুর পর স্বাধীনতাবিরোধীরা মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে অপতৎপরতা চালাচ্ছে। যাদের কিছু বিদেশি মানবাধিকার সংস্থা সমর্থন দিচ্ছে এবং মিথ্যাচার করছে। আজ রোববার এক বিবৃতিতে সেক্টর কমান্ডারস ফোরাম এসব কথা বলেছে। তারা বলেছে, কিছু বিদেশি লবিস্ট ফার্ম ও ব্যক্তির মাধ্যমে যুদ্ধাপরাধের বিচারকে প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা হচ্ছে।

আজ রোববার দেওয়া বিবৃতিতে বলা হয়েছে, মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে আজীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত একজন যুদ্ধাপরাধীর মৃত্যুর পর স্বাধীনতাবিরোধী ও তাদের পৃষ্ঠপোষকেরা মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে কুৎসা রটনায় লিপ্ত হয়েছে। বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৗমত্বের বিরুদ্ধে ঘৃণা ছড়াচ্ছে। এই গোষ্ঠী বিদেশি লবিস্ট ফার্ম ও ব্যক্তির মাধ্যমে  যুদ্ধাপরাধের বিচারকে প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা করে যাচ্ছে।  কিছু বিদেশি মানবাধিকার সংস্থা এই মিথ্যাচার রচনায় বিশেষ ভূমিকা রাখছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, পাকিস্তানের হানাদার বাহিনী ও তাদের স্থানীয় দোসর রাজাকার, আল বদরেরা ১৯৭১ সালে যে ব্যাপক ও নির্মম গণহত্যা ঘটায়, তাতে ৩০ লাখ বাঙালির জীবন নির্বাপিত হয়। প্রায় চার লাখ বাঙালি নারী ধর্ষিত হন এবং তাদের নিষ্ঠুরতায় ঘরবাড়ি ছেড়ে এক কোটি মানুষ ভারতের মাটিতে শরণার্থী হতে বাধ্য হয়। অতএব যুদ্ধাপরাধ বিচারটি ছিল জাতীয় ইতিহাসের অমোঘ দায়বদ্ধতা। সংশ্লিষ্টদের আরও স্মরণ রাখা উচিত যে বাংলাদেশের ঐতিহাসিক বিচারটি অনুষ্ঠিত হয় সেই একই ধারাবাহিকতায় যা নুরেমবার্গ ও টোকিও ট্রায়াল সম্পন্ন করে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের বিজয়ী মিত্রশক্তি নিজেরাই সম্পাদন করেছিল।

স্বাধীনতাবিরোধী ও তাদের পৃষ্ঠপোষকদের এই ভূমিকার বিরুদ্ধে নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে সেক্টর কমান্ডারস ফোরাম বলেছে, যাঁরা রাজনীতির নামে স্বাধীন দেশের নাগরিক হয়েও গণহত্যা–নির্যাতনের কারণে দণ্ডিতদের সমর্থন জানাতে লজ্জাবোধ করেন না, তাঁদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে হবে।

বিবৃতিদাতারা হলেন সেক্টর কমান্ডারস ফোরামের কার্যনির্বাহী সভাপতি মো. নুরুল আলম, উপদেষ্টা ডা. সারওয়ার আলী, সৈয়দ হাসান ইমাম, মাহফুজা খানম, সহসভাপতি ম হামিদ, অধ্যাপক আমজাদ হোসেন, মহাসচিব হারুন হাবীব, যুগ্ম মহাসচিব অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদ পাটোয়ারী, আবদুল মাবুদ, শাহজাহান মৃধা বেনু, সাংগঠনিক সম্পাদক মেজর জেনারেল (অব.) মোহাম্মদ আলী শিকদার, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মনসুর আহমেদ, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক রাষ্ট্রদূত কামালউদ্দিন, কেন্দ্রীয় নারী কমিটির সভাপতি লায়লা হাসান প্রমুখ।