হঠাৎ ধর্মঘট: সাগরে তিন জাহাজে পণ্য খালাস বন্ধ

চট্টগ্রাম বন্দর
ফাইল ছবি: প্রথম আলো

চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে শিল্পের কাঁচামাল নিয়ে আসা তিনটি বড় জাহাজ থেকে হঠাৎ পণ্য খালাস বন্ধ করে দিয়েছেন লাইটার জাহাজের শ্রমিকেরা। নতুন মজুরি স্কেলে বেতন–ভাতার দাবিতে মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে শ্রমিকেরা পণ্য খালাসের কাজ বন্ধ করে দেন। তবে মালিকপক্ষ বলছে, নতুন স্কেলে বেতন–ভাতা দেওয়ার শুরুর দিনই তা না নিয়ে শ্রমিকেরা এই কর্মসূচি দিয়েছেন।

পণ্য খালাস বন্ধ থাকা জাহাজ তিনটিতে ১ লাখ ৬০ হাজার টন কাঁচামাল রয়েছে। এই কাঁচামালের আমদানিকারক প্রিমিয়ার সিমেন্ট লিমিটেড। পণ্য খালাস বন্ধ থাকায় এই তিন জাহাজের ভাড়াবাবদ প্রতিদিন বাড়তি ক্ষতিপূরণ গুনতে হবে আমদানিকারককে।

পণ্য খালাস বন্ধের বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ লাইটারেজ শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মিজানুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, মালিকপক্ষ কয়েক দফা সময় দিয়ে মঙ্গলবার নতুন স্কেলে বেতন–ভাতা দেওয়ার কথা ছিল। এদিন বেতন–ভাতা দেওয়া শুরু হওয়ার পর শ্রমিকেরা ধর্মঘটে গেছেন।

তিনটি বড় জাহাজ থেকে ছোট জাহাজে পণ্য খালাসে নিয়োজিত সীকম গ্রুপের পরিচালনাধীন রোকনুর লাইটারেজ লিমিটেডের প্রধান প্রকৌশলী আবদুল বাসেত প্রথম আলোকে বলেন, সরকার ঘোষিত নতুন স্কেল অনুযায়ীই শ্রমিকদের বেতন–ভাতা দেওয়া শুরু হয়েছিল। শ্রমিকেরা শুরুতে নিলেও পরে বেতন–ভাতা না নিয়ে কাজ বন্ধ করে দেন।

শ্রমিকদের এক নেতা প্রথম আলোকে বলেন, নতুন স্কেল অনুযায়ী বেতন–ভাতা দেওয়া হলেও এন্ডোর্সমেন্ট ও ইনচার্জ নামে দুটি ভাতা দিতে রাজি হয়নি মালিকপক্ষ। এই ভাতা দুটি গেজেটে না থাকলেও দুই পক্ষের আলোচনার মাধ্যমে নির্ধারণ করা হয়। মালিকপক্ষ গেজেটের বাইরে এই ভাতা দুটি দিতে রাজি না হওয়ায় শ্রমিকেরা ধর্মঘট শুরু করে।

জানা গেছে, শ্রমিকেরা ধর্মঘট শুরু করায় অন্তত ৫০টি লাইটার জাহাজ এখন অলস বসে আছে। শ্রমিকদের দাবি অনুযায়ী সব মালিকপক্ষই গেজেটের বাইরে ভাতার দাবি পূরণ করেনি। এরপরও শুধু এই তিন জাহাজে কাজ বন্ধ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।