পিটার হাসকে হুমকি: সেই চেয়ারম্যানসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন খারিজ

ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত
ফাইল ছবি: প্রথম আলো

মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসকে হত্যার হুমকি দেওয়ার অভিযোগে চট্টগ্রামের বাঁশখালীর চাম্বল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুজিবুল হক চৌধুরীসহ সাতজনের বিরুদ্ধে মামলা নেওয়ার আবেদন খারিজ করেছেন আদালত। ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট ফারজানা শাকিলা সুমু চৌধুরী আজ সোমবার এই আদেশ দেন।

ওই আদালতের বেঞ্চ সহকারী রাকিব চৌধুরী প্রথম আলোকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে আজ সোমবার সকালে এম এ হাশেম নামের এক ব্যক্তি মুজিবুল হক চৌধুরীসহ সাতজনের বিরুদ্ধে মামলা নেওয়ার আবেদন করেন। মুজিবুল হক চট্টগ্রামের চাম্বল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক। মামলায় আরও যে ছয়জনকে আসামি করার আবেদন করা হয়, তাঁরা হলেন চাম্বল ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ইফতেখার উদ্দিন, মো. সাজ্জাদ, ইহসান, নাছির, ফরহাদ ও সাইফুল।

আবেদনকারী এম এ হাশেম দাবি করেছেন, তিনি মানবাধিকার নিয়ে কাজ করেন। ৬ নভেম্বর চাম্বল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুজিবুল হক চৌধুরী প্রকাশ্য জনসভায় হত্যার হুমকি দেন। এই হত্যার হুমকির খবরটি সব গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে।

বিএনপি ও সমমনা দলগুলোর ‘অবরোধ ও নৈরাজ্যের প্রতিবাদে’ চাম্বল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ আয়োজিত এক সভায় মুজিবুল হক চৌধুরী ঢাকায় নিয়োজিত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের উদ্দেশে চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষায় বক্তব্য দেন। সমাবেশে তাঁর দেওয়া সাড়ে ১৮ মিনিটের বক্তব্য ফেসবুকের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।

বক্তব্যে তিনি বিএনপি-জামায়াতের পাশাপাশি আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, রাষ্ট্রদূত পিটার হাস ও নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সমালোচনা করেন। এর আগে মুজিবুল হক চৌধুরী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের সময় ইভিএমে বোতাম চেপে দেওয়ার জন্য ভোটকেন্দ্রে তাঁর লোক থাকবে বলে আলোচনায় আসেন। তখন থেকে তিনি ‘টিপ মারা মুজিব’ নামে পরিচিতি পান।

চাম্বলে আয়োজিত সমাবেশে চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষায় মার্কিন রাষ্ট্রদূতের উদ্দেশে মুজিবুল হক বলেন, ‌‘পিটার হাস বলছেন, এখানে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে। পিটার হাস আমরা আপনাকে ভয় পাই না। আমরা মোটা চালের ভাত খাই। আপনি বিএনপির ভগবান। কিন্তু আমরা আওয়ামী লীগ ইমান বেচি না। আপনাকে এমন মারা মারব, বাঙালি কত দুষ্ট তখন বুঝতে পারবেন।’

তাঁর এ হুমকিকে ‘সহিংস বক্তব্য’ হিসেবে আখ্যায়িত করে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর। একে খুবই অসহযোগিতামূলক আচরণ হিসেবেও বর্ণনা করেছে তারা। গত বুধবার মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নের জবাবে এসব মন্তব্য করেন দপ্তরের উপপ্রধান মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল।