জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের বিভিন্ন অনুষদ, বিভাগ ও ইনস্টিটিউটের কমিটিতে পদপ্রত্যাশী শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে জীবনবৃত্তান্ত (সিভি) চাওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ ছাত্রলীগের জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার শীর্ষ নেতারা জীবনবৃত্তান্ত চেয়েছেন। আগামী শুক্র থেকে বুধবারের মধ্যে নিজেদের জীবনবৃত্তান্তসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিতে হবে পদপ্রত্যাশী শিক্ষার্থীদের। আগামী জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে এ কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
আবেদনপত্র পাওয়ার পর তা যাচাই–বাছাই করে যত দ্রুত সম্ভব, কমিটি ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ইব্রাহীম ফরাজী। তিনি বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে সর্বশেষ ১০ বছর আগে পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়েছিল। এরপর আর ছাত্রলীগ কর্মীরা পরিচয় পায়নি। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়টি যেহেতু অনাবাসিক, তাই আমরা দ্রুত অনুষদ, বিভাগ ও ইনস্টিটিউটের কমিটিগুলো করে ফেলতে চাই। আগামী সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখেও কমিটি ঘোষণায় গুরুত্ব থাকবে।’
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে এ বাংলার অবিকল্প সারথি বঙ্গবন্ধুতনয়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ডিজিটাল বাংলাদেশকে আরও উন্নত, সমৃদ্ধ ও চতুর্থ শিল্পবিপ্লবকে সফল এবং ডেলটা প্লান-২০৪১ বাস্তবায়নে একঝাঁক তরুণ, মেধাবী, দক্ষ, শৈল্পিক, স্বচ্ছ এবং জাতির পিতা শেখ মুজিব ও মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় আদর্শিক, সংগ্রামী নেতৃত্ব নির্বাচনের উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়। এ মর্মে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব অনুষদ, বিভাগ ও ইনস্টিটিউটের পদপ্রত্যাশীদের জীবনবৃত্তান্ত আহ্বান করা হয়েছে।’
আবেদনের সঙ্গে জমা দিতে হবে দুই সেট করে জীবনবৃত্তান্ত, পাসপোর্ট সাইজ ছবি, সর্বশেষ একাডেমিক সনদের ফটোকপি, জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি, বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক/হল পরিচয়পত্রের ফটোকপি। সামাজিক, সাংস্কৃতিক বা অন্য কোনো সহশিক্ষা কার্যক্রমে ব্যক্তিগত অর্জন/ সম্পৃক্ততার সনদ বা স্বীকৃতির কপি। পরিবারের কেউ রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকলে তার প্রত্যয়নপত্রও দিতে হবে। রেফারেন্স হিসেবে জেলা/উপজেলা/ইউনিয়ন/পর্যায়ের আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ ইউনিটের সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদকের নাম, ঠিকানা ও মুঠোফোন নম্বর।
কোনো ধরনের অপকর্মে জড়িত নয়, ছাত্র-শিক্ষকদের মধ্যে জনপ্রিয়, সৎ, মেধাবী, নেতৃত্ব দেওয়ার গুণাবলি থাকা শিক্ষার্থীদের এই কমিটিতে রাখা হবে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আকতার হোসাইন। তিনি বলেন, ‘দীর্ঘদিন কমিটি না হওয়ায় সবার মধ্যে হতাশা বিরাজমান। পারিবারিক ব্যাকগ্রাউন্ডসহ যাদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, অর্থলোভ, সংগঠনকে কলঙ্কিত করবে, অনুপ্রবেশকারী এমন কোনো ব্যক্তিকে আমরা নেতৃত্ব দেব না। সামনে নির্বাচনে যারা ভালো কাজ করতে পারবে, তারা দেশের জন্য কাজ করতে পারবে। দেশবিরোধী অপশক্তির বিরুদ্ধে সোচ্চার ভূমিকা পালন করতে পারবে, তারাই নেতৃত্বে আসবে।’