মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় চিত্রনায়িকা পরীমনির ব্যক্তিগত হাজিরা মওকুফ বাতিলের বিষয়ে আদেশ হবে আগামী ৩০ অক্টোবর। ব্যক্তিগত হাজিরা বাতিল চেয়ে করা আবেদনের বিষয়ে আদেশের জন্য এই দিন ধার্য করেছেন আদালত।
ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০–এর বিচারক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম আজ সোমবার এই আদেশ দেন।
প্রথম আলোকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন ওই আদালতের সহকারী সরকারি কৌঁসুলি (এপিপি) আজাদ রহমান।
এপিপি আজাদ রহমান প্রথম আলোকে বলেন, পরীমনির মামলায় ব্যক্তিগত হাজিরা মওকুফের যে আদেশ আদালত দিয়েছিলেন, তা বাতিল চেয়ে আবেদন করা হয় গত ৯ জুলাই। আজ আদালতে ওই আবেদন বিষয়ে আগামী ৩০ অক্টোবর আদেশের জন্য দিন ধার্য করেছেন।
২০২১ সালের ৪ আগস্ট রাজধানীর বনানীতে পরীমনির বাসায় অভিযান চালায় র্যাব। পরে বনানী থানায় করা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। ওই মামলার দুই মাসের মাথায় ২০২১ সালের ৪ অক্টোবর আদালতে পরীমনিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দেয় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। অভিযোগপত্রে ১৯ জনকে সাক্ষী করা হয়। পরে গত বছরের ৫ জানুয়ারি পরীমনিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত।
অভিযোগ গঠনের আদেশ চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে আবেদন করেন পরীমনি। গত ৮ মার্চ পরীমনির বিরুদ্ধে করা মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশ ছয় সপ্তাহের জন্য স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত। ফলে পরীমনির বিরুদ্ধে ওই মামলার কার্যক্রম চলবে বলে তখন জানিয়েছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মো. মিজানুর রহমান।
অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, পরীমনির বাসা থেকে মাদকদ্রব্য জব্দ করা হয়। তবে সেগুলোর বৈধ কোনো কাগজপত্র ছিল না। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে লিখিতভাবে সিআইডিকে জানানো হয়, ২০১৯-২০ অর্থবছরে পরীমনির নামে মদজাতীয় পানীয় সেবনের লাইসেন্স দেওয়া হয়েছিল। ২০২১ সালের ৩০ জুন ওই লাইসেন্সের মেয়াদ শেষ হয়। মামলার অপর দুই আসামি আশরাফুল ইসলাম ও কবির হোসেনের মাধ্যমে পরীমনি বিভিন্ন স্থান থেকে অবৈধ মাদকদ্রব্য সংগ্রহ করে বাসায় মজুত রেখেছিলেন।