বাজার স্থিতিশীল রাখতে যত দিন প্রয়োজন তত দিন ওএমএস চলবে: খাদ্যমন্ত্রী

সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দিচ্ছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদারছবি: মোশতাক আহমেদ

বাজার স্থিতিশীল রাখার জন্য যত দিন প্রয়োজন তত দিন পর্যন্ত খোলাবাজারে (ওএমএস) চাল ও আটা বিক্রির কার্যক্রম চলবে। এ ছাড়া পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী, বছরের পাঁচ মাস খাদ্যবান্ধব কমর্সূচিও চলবে। আজ মঙ্গলবার সচিবালয়ে খাদ্য পরিস্থিতি নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।

বাজারে নিত্যপণ্যের দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যাওয়ায় সরকার খোলাবাজারে তুলনামূলক কম দামে চাল ও আটা বিক্রি করছে।

খাদ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ওএমএস কার্যক্রমে চালের দাম প্রতি কেজি ৩০ টাকা ও আটা ১৮ টাকা। ২ হাজার ৩৬৩টি কেন্দ্রে ওএমএস কার্যক্রম চলে। এর মধ্যে শুধু চাল বিক্রি হয় ১ হাজার ৯৬০টি কেন্দ্রে এবং চাল ও আটা বিক্রি হয় ৪০৩টি কেন্দ্রে। ২ হাজার ৩৬৩টি কেন্দ্রে দিনে চালের বরাদ্দ দেওয়া হয় ৪ হাজার ৮০১ টন এবং ৪০৩টি কেন্দ্রে দিনে আটার বরাদ্দ ২০১ দশমিক ৫ টন।

অন্যদিকে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে ৫০ লাখ ১০ হাজার ৫০৯টি পরিবারকে প্রতি মাসে ১৫ টাকা কেজি দরে ৩০ কেজি করে চাল দেওয়া হয়। এ কার্যক্রম সেপ্টেম্বর, অক্টোবর ও নভেম্বর পর্যন্ত টানা চলবে। এরপর আবার মার্চ ও এপ্রিল মাসেও তা চলবে। সারা দেশে ১০ হাজার ১১০ ডিলারে মাধ্যমে এ কর্মসূচি চলে।

বাজারের দামের বিষয়টি দেখার জন্য শুধু খুচরা বাজারে না গিয়ে একই সঙ্গে মিলগেট ও পাইকারি বাজারে যাওয়ার জন্য সাংবাদিকদের অনুরোধ করেন খাদ্যমন্ত্রী।

সংবাদ সম্মলেন আরও উপস্থিত ছিলেন খাদ্যসচিব মো. ইসমাইল হোসেন। সংবাদ সম্মলেন মন্ত্রী ও সচিব বিদেশ থেকে চাল–গম আমদানির পরিস্থিতি তুলে ধরেন এবং দাম নিয়ে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন।