মামলার তদন্ত তিন মাসে শেষ করতে দুদককে নির্দেশ

হাইকোর্ট
ফাইল ছবি

বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) সহযোগী প্রতিষ্ঠান স্ট্যান্ডার্ড এশিয়াটিক অয়েল কোম্পানির (এসএওসিএল) অন্যতম পরিচালক মঈনুদ্দিন আহমেদের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে করা মামলার তদন্ত তিন মাসের মধ্যে শেষ করতে দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ বৃহস্পতিবার এ আদেশ দেন।

‘এ বিপিসি কনসার্ন রোবস স্টেট কফার্স অব টাকা ৪৭২.৭ ক্রো’ শিরোনামে গত বছরের ৪ নভেম্বর ইংরেজি দৈনিক দ্য ডেইলি স্টার–এ একটি প্রতিবেদন ছাপা হয়। প্রতিবেদন নজরে আনার পর গত বছরের ৬ নভেম্বর হাইকোর্টের একই বেঞ্চ স্বতঃপ্রণোদিত রুলসহ আদেশ দেন। ৩০ নভেম্বর হাইকোর্ট ৪৭২ কোটি ৭০ লাখ টাকা অনিয়ম ও দুর্নীতি সম্পর্কে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ প্রতিবেদন কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল এবং বিপিসির চেয়ারম্যানকে দাখিল করতে নির্দেশ দেন।

আগের ধারাবাহিকতায় আজ বিষয়টি কার্যতালিকায় ওঠে। আদালতে বিপিসির পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী মো. মেজবাহ উদ্দিন ও আবদুস সামাদ আজাদ। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন। ওই ঘটনায় দুদকের পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী খুরশীদ আলম খান সংস্থাটির কার্যক্রম শুনানিতে তুলে ধরেন।

পরে খুরশীদ আলম খান প্রথম আলোকে বলেন, অডিট রিপোর্ট নিয়ে দ্য ডেইলি স্টারে প্রতিবেদন প্রকাশের আগে ৮১ কোটি ১০ লাখ ৩৪ হাজার ২৯১ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ২০২১ সালে মঈনুদ্দিনের বিরুদ্ধে দুদক মামলা করে, যার তদন্ত চলছে। মঈনুদ্দিনসহ চার ব্যক্তির দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা আছে। তাঁদের সম্পত্তি ও ব্যাংক হিসাব জব্দ আছে। শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট মঈনুদ্দিনের বিরুদ্ধে দুদকের করা মামলার তদন্ত তিন মাসের মধ্যে শেষ করতে নির্দেশ দিয়েছেন।

আদালতের নির্দেশনা বাস্তবায়ন বিষয়ে দুদককে হাইকোর্টে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে বলে জানান ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, তিন মাস পর বিষয়টি আবার শুনানির জন্য কার্যতালিকায় আসবে।

ডেইলি স্টারের প্রতিবেদনের ভাষ্য, বিপিসির সহযোগী প্রতিষ্ঠান স্ট্যান্ডার্ড এশিয়াটিক অয়েল কোম্পানির ২১ অনিয়মের কারণে সরকার ৪৭২ কোটি ৭০ লাখ টাকা থেকে বঞ্চিত হয়েছে। কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল (সিএজি) ২০১২-১৩ থেকে ২০১৯-২০ অর্থবছর পর্যন্ত স্ট্যান্ডার্ড এশিয়াটিক অয়েল কোম্পানির নথি পর্যালোচনা করে এ তথ্য জানতে পেরেছে।