দেশের প্রথম টেলকো সুপারঅ্যাপ হিসেবে মাইবিএলকে নতুনভাবে নিয়ে এল বাংলালিংক

দেশের প্রথম টেলকো সুপারঅ্যাপ মাইবিএলের যাত্রা শুরুর মাধ্যমে ডিজিটাল সেবার পরিসর বৃদ্ধির পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে বাংলালিংক। গ্রাহকদের সেলফ কেয়ার সার্ভিসের সুবিধা দেওয়ার পাশাপাশি এখন বিনোদন, কনটেন্ট, স্বাস্থ্যসেবা, গেমিং, শিক্ষা, টিকিট বুকিং ও বিল পরিশোধসহ বিভিন্ন সুবিধা দেবে এই ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম।

এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, নানান উদ্ভাবনী ডিজিটাল সেবা দিয়ে মাইবিএল সুপারঅ্যাপ ডিজিটাল মার্কেটপ্লেস হিসেবে কাজ করছে। এটি ব্যালান্স রিচার্জের মতো সেবা দেওয়ার পাশাপাশি বিনোদনের মাধ্যম হিসেবেও গ্রহণযোগ্যতা অর্জন করেছে। দেশীয় মিউজিক স্ট্রিমের সবচেয়ে বড় সংগ্রহ রয়েছে অ্যাপটিতে। একই সঙ্গে জনপ্রিয় অনেক মোবাইল গেম রয়েছে এতে।

মাইবিএল ব্যবহারকারীরা যেকোনো সময়ে, যেকোনো স্থান থেকে সহজে ইউটিলিটি বিল জমা দিতে পারেন। বুকিং দিতে পারেন ভ্রমণের টিকিটও। এ ছাড়া মাইবিএল সুপারঅ্যাপে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের কোর্স, যেগুলোর মাধ্যমে গ্রাহকেরা নিজেদের সুবিধামতো বিভিন্ন বিষয় শিখতে পারছেন। স্বাস্থ্যসেবাবিষয়ক সমাধান চাইছেন এমন গ্রাহকদের জন্য এখানে রয়েছে বাংলাদেশ মেডিকেল ও ডেন্টাল কাউন্সিলের প্রত্যায়িত অভিজ্ঞ চিকিত্সকদের সঙ্গে যোগাযোগের সুবিধা। ব্যবহারকারীরা দিনের যেকোনো সময়ে তাত্ক্ষণিকভাবে চিকিৎসকদের পরামর্শ নেওয়াসহ ঘরে বসে ওষুধও অর্ডার করতে পারছেন।

এ বিষয়ে বাংলালিংকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এরিক অস বলেন, ‘মাইবিএল সুপারঅ্যাপের মাধ্যমে আমরা টেলিকম খাতে প্রথম এ ধরনের সেবা নিয়ে এসেছি। এটি বাংলাদেশের মানুষের ডিজিটাল অভিজ্ঞতা আরও উন্নত করার ক্ষেত্রে একটি মাইলফলক। যা আমাদের ও সরকারের লক্ষ্যের সঙ্গেও সংগতিপূর্ণ। সুপারঅ্যাপটি চার কোটির বেশি বাংলালিংক গ্রাহককে বিল পরিশোধ বা প্যাক কেনার সুবিধা দেওয়ার পাশাপাশি সহজেই অডিও, ভিডিও, গেমস এবং শিক্ষামূলক ও স্বাস্থ্যবিষয়ক বিভিন্ন সেবা গ্রহণের সুযোগ দিচ্ছে।’

বাংলালিংকের চিফ কমার্শিয়াল অফিসার উপাঙ্গ দত্ত বলেন, ‘দেশব্যাপী গ্রাহকদের নানা ধরনের চাহিদা পূরণে মাইবিএল সুপারঅ্যাপটি ডিজাইন করা হয়েছে। বাংলালিংকের ডিজিটাল অপারেটরভিত্তিক কৌশলের অংশ হিসাবে আমরা গ্রাহকদের একটি ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের আওতায় সব ধরনের সেবা প্রদান করছি। আমরা আশা করি, এক জায়গায় সবকিছু পাওয়ার সুবিধাটি গ্রাহকেরা গ্রহণ করবেন। এর মাধ্যমে আমরা বাংলাদেশের অন্যান্য ডিজিটাল সেবা প্রদানকারীর সঙ্গে অংশীদারত্বের সুযোগও সৃষ্টি করছি।’