মেট্রোরেলের (মাস র্যাপিড ট্রানজিট–এমআরটি) নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিশেষায়িত মেট্রোরেল পুলিশ গঠনের অনুমোদন দিয়েছে সরকার। পুলিশের একজন উপমহাপরিদর্শকের (ডিআইজি) নেতৃত্বে ২৩১ জনবল থাকবে এই ইউনিটে। বুধবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের এক প্রজ্ঞাপনে এই তথ্য জানানো হয়।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, এমআরটি লাইন-৬–এর জন্য একজন পুলিশের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি), একজন পুলিশ সুপার (এসপি), একজন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, আটজন পুলিশ পরিদর্শক, ছয়জন উপপরিদর্শক (এসআই), ৪১ জন পুলিশের সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই), পাঁচজন নায়েক, পুলিশ কনস্টেবল ১৬৩, দুজন অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক, উচ্চমান সহকারী একজন, একজন হিসাবরক্ষক ও একজন কম্পিউটার অপারেটর নিয়োগ দেওয়া হবে। এ ছাড়া মেট্রোরেল পুলিশের জন্য ১০টি মোটরসাইকেল, চারটি পিকআপ ও একটি জিপ থাকবে।
প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়, বাংলাদেশ পুলিশে (কনস্টেবল থেকে পুলিশের মহাপরিদর্শক-আইজিপি, সিভিল পদসহ) ২ লাখ ১২ হাজার ৯৯৯ জনবল রয়েছে। মেট্রোরেলের জন্য ২৩১টি পদ সৃজন করা হলে পুলিশের মোট জনবল হবে ২ লাখ ১৩ হাজার ২৩০ জন।
পুলিশ সূত্র জানায়, এমআরটি-৬ রুটে উত্তরার দিয়াবাড়ী থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত ট্রেন চলছে। এ রুট চালু হওয়ার আগেই এর নিরাপত্তার জন্য পুলিশের একটি নতুন ইউনিট গঠনে তোড়জোড় শুরু হয়। এ জন্য পুলিশ সদর দপ্তর একটি প্রস্তাব তৈরি করে। পুলিশের এ বিশেষ ইউনিটটির নাম হবে মেট্রোরেল পুলিশ। সংক্ষেপে এটাকে বলা হচ্ছে এমআরটি পুলিশ। এই ইউনিটের সদস্যদের জন্য আলাদা পোশাক থাকবে।
জানতে চাইলে বুধবার রাতে পুলিশ সদর দপ্তরের মুখপাত্র ও সহকারী মহাপরিদর্শক (এআইজি) মো. মনজুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, শিগগিরই লোকবল নিয়োগ দিয়ে পুলিশের এই বিশেষায়িত ইউনিট-এমআরটি চালু করা হবে।
গত ৩০ এপ্রিল সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বেলা ১১টার মধ্যে আগারগাঁও থেকে উত্তরা স্টেশনগামী ট্রেন কাজীপাড়া স্টেশনে ঢোকার মুখে ঢিল ছোড়ার ঘটনা ঘটে। এতে একটি জানালার কাচ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ওই ঘটনায় মেট্রোরেলের পক্ষ থেকে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কাফরুল থানায় মামলা করা হয়। থানা-পুলিশের পাশাপাশি ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি), র্যাব ও পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগসহ (সিআইডি) পুলিশের প্রায় সব কটি ইউনিট মাঠে কাজ করছে। কিন্তু ক্লোজড সার্কিট (সিসিটিভি) ক্যামেরার ফুটেজ না থাকায় তারা হামলাকারীদের ধরতে হিমশিম খাচ্ছে।