নারীর বিনা মজুরির কাজের মূল্যকে স্বীকৃতি এক ‘মাইলফলক’: এমজেএফ

নারীর মজুরিহীন কাজের অর্থনৈতিক মূল্যকে স্বীকৃতি দেওয়ায় বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোকে (বিবিএস) অভিনন্দন জানিয়েছে বেসরকারি সংস্থা মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন (এমজেএফ)। আজ বুধবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এই অভিনন্দন জানায় সংস্থাটি। এই উদ্যোগকে মাইলফলক হিসেবে অভিহিত করেছে সংস্থাটি।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) এক হিসাবে দেখা গেছে, এ দেশের নারীরা যদি গৃহস্থালি ও সেবাযত্নের কাজের জন্য মজুরি পেতেন, তাহলে এর পরিমাণ দাঁড়ায় ৫ দশমিক ৭ ট্রিলিয়ন টাকা বা ৫ লাখ ৭০ হাজার কোটি টাকা। এ হিসাব ২০২১ সালের ওপর ভিত্তি করে তৈরি করেছে বিবিএস। আজ বিবিএসের হাউসহোল্ড প্রোডাকশন স্যাটেলাইট অ্যাকাউন্ট (এইচপিএসএ) প্রকাশ করেছে। এতে এই চিত্র ওঠে এসেছে।

মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন বলেছে, বিবিএসের প্রতিবেদনে বলা হয়, অবৈতনিক গৃহস্থালি কাজের অর্থনৈতিক মূল্য ৫ লাখ ৭০ হাজার কোটি টাকা, যা দেশের জিডিপির ১৮ দশমিক ৯ শতাংশের সমান। দীর্ঘদিন ধরে উপেক্ষিত হলেও এই ফলাফল জাতীয় অর্থনীতিকে টিকিয়ে রাখার মূলভিত্তি হিসেবে থাকা অদৃশ্য শ্রমের আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি প্রদান করেছে। মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন (এমজেএফ) সরকারকে এ বিষয়ে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকার জন্য প্রশংসা জানায়।

এমজেএফের নির্বাহী পরিচালক শাহীন আনাম এই প্রতিবেদন প্রকাশকে বাংলাদেশে জেন্ডার সমতার জন্য একটি মাইলফলক হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। তিনি বলেন, এটি একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত, যেখানে নারীর অস্বীকৃত ও অবমূল্যায়িত গৃহস্থালি কাজ অবশেষে জাতীয়ভাবে স্বীকৃতি পেতে যাচ্ছে। আমরা বিশ্বাস করি যে এটি সমাজে নারী ও কন্যাশিশুদের প্রতি দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। গৃহস্থালি কাজে নিয়োজিত নারীরা আরও স্বীকৃতি ও সম্মান পাবেন।

আন্তমন্ত্রণালয় কাঠামো গঠন করে অবৈতনিক কাজকে জাতীয় আইন ও নীতিমালার অন্তর্ভুক্তকরণ, যথাযথ বাজেট বরাদ্দ নিশ্চিতকরণ এবং অগ্রগতি পর্যবেক্ষণের জন্য নিয়মিত তথ্য সংগ্রহের ওপর জোর দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন। সংস্থাটি আশা করে, এসব গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ দ্রুত অনুসরণ ও বাস্তবায়িত হবে, যাতে এ তথ্য বাস্তব জীবনে অর্থবহ পরিবর্তন বয়ে আনে।

আরও পড়ুন