বাংলাদেশ-ভারত প্রতিরক্ষা সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা
বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে প্রতিরক্ষাসংক্রান্ত সহযোগিতা বাড়ানো নিয়ে দুই দেশের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হয়েছে। ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিকের সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা করেছেন। পাশাপাশি বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনীর প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার লেফটেন্যান্ট জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান সঙ্গে বৈঠক করেন ভারতের প্রতিরক্ষাসচিব অজয় কুমার। দুই দেশের মধ্যে এই আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়েছে ভারতের গুজরাটের রাজধানী গান্ধীনগরে, যেখানে প্রতিরক্ষা মেলা ‘দ্বাদশ ডিফেন্স এক্সপো’ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ওই আন্তর্জাতিক মেলায় যোগ দিতে ভারত সফর করছেন বাংলাদেশের এই প্রতিনিধিরা।
লে. জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানের সঙ্গে ভারতের প্রতিরক্ষাসচিবের বৈঠক হয় গত বুধবার। বৃহস্পতিবার সকালে ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়, বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে সহযোগিতা বৃদ্ধি নিয়ে অগ্রগতির বিষয়গুলো পর্যালোচনা করা হয়েছে। প্রতিরক্ষা খাতে সহযোগিতা বাড়াতে কী কী করা যেতে পারে, তা নিয়েও দুই দেশের প্রতিনিধিরা আলোচনা করেছেন।
মেজর জেনারেল সিদ্দিকের সঙ্গে ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের বৈঠক হয় গত মঙ্গলবার। বুধবার সরকারিভাবে সেই বৈঠক সম্পর্কে জানানো হয়, প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে কোনো কোনো বিষয়ে দুই দেশ নিজেদের মধ্যে সহযোগিতা বাড়াতে পারে, তা পর্যালোচনা ছিল মুখ্য। সেই সব দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে, যা দুই দেশের পক্ষেই লাভজনক।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি গত বুধবার গান্ধীনগরে ডিফেন্স এক্সপোর উদ্বোধন করেন। প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম উৎপাদনের কিছু কিছু ক্ষেত্রে ভারত কত দ্রুত স্বনির্ভর হয়ে উঠছে, প্রধানমন্ত্রী তা সবিস্তার জানান। তিনি বলেন, আট বছর আগে বিজেপি যখন দেশে ক্ষমতায় আসে, তখন সামরিক অস্ত্রসম্ভার আমদানির ক্ষেত্রে ভারত ছিল পৃথিবীতে এক নম্বর দেশ। এখন দেশেই শুরু হয়েছে বিভিন্ন ধরনের অস্ত্র ও গোলাবারুদের উৎপাদন। আট বছরে ভারতের প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম ও উপকরণের রপ্তানি বেড়েছে আট গুণ। বিশ্বের বহু দেশ এ জন্য উপকৃত হচ্ছে।
প্রতিরক্ষার কোন কোন ক্ষেত্রে ভারত ও বাংলাদেশ আগামী দিনে যৌথভাবে উদ্যোগ নিয়ে উপকৃত হতে পারে, তা নিয়ে দুই দেশের মধ্যে ধারাবাহিক আলোচনা চলছে। গান্ধীনগরে পরপর দুই দিনের আলোচনা সেই উদ্যোগেরই অংশ বলে মনে করা হচ্ছে।
দুই দেশের প্রতিরক্ষা সম্পর্কের অগ্রগতির বিষয়ে সাম্প্রতিক ভারত সফরের সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আলোচনা হয়েছিল। প্রতিরক্ষা সম্পর্কের ক্রমোন্নতিতে দুই নেতা সন্তোষ প্রকাশও করেছিলেন।