হেফাজতের সহিংসতার মামলায় জামায়াত নেতা শামসুল গ্রেপ্তার
হেফাজতে ইসলামের সহিংসতার ঘটনায় পুলিশের করা দুই মামলায় জামায়াতে ইসলামের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির আ ন ম শামসুল ইসলামকে গ্রেপ্তার (শ্যোন অ্যারেস্ট) দেখানো হয়েছে। পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আজ সোমবার চট্টগ্রামের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শাহরিয়া ইকবাল শুনানি শেষে এই আদেশ দেন।
চট্টগ্রাম জেলা কোর্ট পরিদর্শক জাকের হোসাইন মাহমুদ প্রথম আলোকে বলেন, তদন্তাধীন দুই মামলায় শামসুল ইসলামকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করে হাটহাজারী থানা–পুলিশ। ২০২১ সালের ২৬ মার্চ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের বিরোধিতা করে বিক্ষোভ থেকে চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে সংঘর্ষ হয়। এ সময় মাদ্রাসার ছাত্ররা হাটহাজারীর থানা ভবন, ভূমি অফিস ও ডাকবাংলোতে ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ করেন। এসব ঘটনায় শামসুল ইসলাম জড়িত ছিলেন এমন তথ্য থাকার কথা জানিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তারের আবেদন করা হয়। শুনানি শেষে আদালত দুই মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার দেখান।
এর আগে কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে আজ শামসুল ইসলামকে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে আদালতে আনা হয়। আদালতের আদেশের পর তাঁকে কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।
২০২১ সালের ২৬ মার্চ বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর অনুষ্ঠানে যোগ দেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তাঁর এই সফরের বিরোধিতা করে বিক্ষোভের জেরে চট্টগ্রামের হাটহাজারী এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সংঘর্ষ হয়। হাটহাজারীর ঘটনায় সাড়ে ৪ হাজার জনকে আসামি করে ১০টি মামলা করে হাটহাজারী থানা–পুলিশ। এতে হেফাজতের ১৪৮ নেতার নাম উল্লেখ করা হয়।