আবরার ফাহাদের স্বাধীনতা পদকের ক্যাটাগরি হওয়া উচিত মুক্তিযুদ্ধ: উপদেষ্টা ফারুকী

আবরার ফাহাদফাইল ছবি

বুয়েটের ছাত্র আবরার ফাহাদের মরণোত্তর স্বাধীনতা পদকের ক্যাটাগরি ‘মুক্তিযুদ্ধ’ হওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। আজ সোমবার নিজের ফেসবুক পেজে এক পোস্টে তিনি এ মন্তব্য করেন।

পোস্টে সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী বলেন, ‘আবরার ফাহাদের নাম সামনে আসায় সর্বস্তরের মানুষের উচ্ছ্বসিত প্রশংসার পাশাপাশি একটা নির্দিষ্ট দলের লোকদের অবুঝ প্রশ্ন দেখতে পাচ্ছি, “আবরার ফাহাদকে স্বাধীনতা পদক কী বিবেচনায় দেওয়া হবে?” কী বিবেচনায় দেওয়া উচিত, সেটা ব্যাখ্যা না করে আমি বলতে চাই, কোন ক্যাটাগরিতে দেওয়া উচিত। তাহলেই কেন দেওয়া উচিতের উত্তর পাওয়া যাবে। আমার একান্ত ব্যক্তিগত বিবেচনা, আবরার ফাহাদের ক্যাটাগরি হওয়া উচিত, মুক্তিযুদ্ধ! মুক্তিযুদ্ধের ফল স্বাধীনতা। স্বাধীনতার প্রধান শর্ত সার্বভৌমত্ব। আর সার্বভৌমত্বের ভ্যানগার্ড (অগ্রদূত) আবরার ফাহাদ।’

এবারের স্বাধীনতা পদক একুশে পদকের মতোই অনন্য হবে মন্তব্য করে সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী আরও বলেন, ‘এবারের স্বাধীনতা পদক একুশে পদকের মতোই অনন্য হবে। আবরার ফাহাদের কথাটা যেকোনোভাবেই হোক সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ার পর অনেক সাংবাদিক ভাইবোন এর সত্যতা জানতে চেয়েছেন। তাঁদের সবার জন্য উত্তর—একটু অপেক্ষা করেন, পুরো তালিকাই জানতে পারবেন। অসাধারণ সব নাম দেখতে পাবেন।’

ফেসবুক পোস্টে মোস্তফা সরয়ার ফারুকী আরও বলেন, ‘আবরার ফাহাদ একটা সিম্বল (প্রতীক), যার শক্তি যদি আপনি অনুমান না করতে পারেন, তাহলে বলব জুলাইতে ফিরে যান। গিয়ে তরুণবক্ষে কান পাতেন। যার নিশ্বাস শুনবেন, তার নামই আবরার ফাহাদ।’

এর আগে আজ অন্তর্বর্তী সরকারের যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে আবরার ফাহাদ

মরণোত্তর স্বাধীনতা পদক ২০২৫ পাচ্ছেন বলে জানান।

আবরার ফাহাদ বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী ছিলেন। ২০১৯ সালের অক্টোবরে তাঁকে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করে বর্তমানে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের কিছু নেতা-কর্মী।

আরও পড়ুন

আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার পোস্টে বলা হয়, ‘অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর সাহসিকতার প্রতীক, মুক্তচিন্তার এক প্রতিচ্ছবি আবরার ফাহাদ। মরণোত্তর স্বাধীনতা পদক ২০২৫-এ ভূষিত হওয়া তাঁর আত্মত্যাগের স্বীকৃতি। তাঁর আদর্শ আমাদের আলোকিত করে, ন্যায়বিচারের পথে এগিয়ে যেতে অনুপ্রেরণা দেয়। জাতি তোমাকে ভুলবে না, আবরার!’

আরও পড়ুন