ইপিজেড আইন সংশোধন, শিশুশ্রম বন্ধের তাগিদ ইউরোপীয় পার্লামেন্টের প্রতিনিধিদলের

জাতীয় প্রেসক্লাবে ডিকাব টকে বক্তব্য দেন ইউরোপীয় পার্লামেন্টের প্রতিনিধিরাছবি: প্রথম আলো

ইউরোপীয় পার্লামেন্টের সফররত প্রতিনিধিদলের নেতা হেইডি হাওটোলা বলেছেন, বাংলাদেশের শ্রম পরিস্থিতি আগের থেকে অনেক সন্তোষজনক।‌ তবে পরিস্থিতি আরও ভালো করতে চাইলে শ্রম আইন সংস্কারে আন্তর্জাতিক মান নিশ্চিত করতে হবে, ইপিজেড আইন সংশোধন এবং শিশুশ্রম বিলোপ করতে হবে।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে ডিপ্লোমেটিক করেসপনডেন্ট অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ (ডিকাব) আয়োজিত ডিকাব টকে তিনি এসব কথা বলেন।
ইউরোপীয় পার্লামেন্টের ভাইস প্রেসিডেন্ট হেইডি হাওটোলা বলেন, ‘বাংলাদেশ সরকার ইতিমধ্যে ২০২৫–এর মধ্যে শিশুশ্রম বন্ধ করবে বলে ঘোষণা দিয়েছে। আমরা আশা করি প্রক্রিয়াটি আরও ত্বরান্বিত হবে।’

এ সময় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন (ডিএসএ) নিয়ে উদ্বেগ জানান হেইডি হাওটোলা। তিনি বলেন, ‘আন্তর্জাতিক মানদণ্ড মেনে এ আইনের সংশোধন করা হয়। এ আইনের প্রভাব ভয়াবহ, মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে আরও আলোচনার দরকার আছে। ইইউ ইতিমধ্যে আইনটি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। আমরা খুশি যে এটি নিয়ে বিতর্ক হচ্ছে।’

শ্রম সংস্থার বিষয়ে হেইডি হাওটোলা বলেন, ‘গত বছর বাংলাদেশ এ বিষয়ে জাতীয় কর্মপরিকল্পনা ঘোষণা করেছে। আমরা এর পূর্ণ এবং সন্তোষজনক বাস্তবায়ন চাই। ট্রেড ইউনিয়ন যেন নিবন্ধিত হতে পারে। এই সুবিধা যেন ইপিজেডে থাকে।’

ইউরোপিয়ান ইউনিয়নে জিএসপি প্লাস সুবিধা পেতে হলে মৌলিক মানবাধিকার পালন করতে হবে জানিয়ে ইইউ পার্লামেন্টের ভাইস প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘আমি আশা করি এটি বাংলাদেশ সরকার মাথায় রাখবে।’

বিচারবহির্ভূত হত্যা ও গুম নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে হেইডি হাওটোলা বলেন, এটি মানবাধিকারের বড় লঙ্ঘন।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন ছয় সদস্যবিশিষ্ট ইউরোপিয়ান পার্লামেন্টের প্রতিনিধিদলের অন্যতম সদস্য ম্যাক্সিমিলান ক্রাহ। আলোচনা সঞ্চালনা করেন ডিকাব সভাপতি রেজাউল করিম লোটাস।