ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে দুদকের সেই দুই কর্মকর্তা সাময়িক বরখাস্ত

দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)

ঘুষ ও দুর্নীতির অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) প্রত্যাহার করা দুই কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তাঁরা হলেন মো. মোস্তাফিজুর রহমান ও সুদীপ কুমার চৌধুরী। মোস্তাফিজুর রহমান যশোর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক ও সুদীপ কুড়িগ্রাম সমন্বিত জেলা কার্যালযের উপসহকারী পরিচালক ছিলেন।

আজ বৃহস্পতিবার দুদকের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ এক অফিস আদেশে তাঁদের বরখাস্ত করেন।

চলতি মাসের ১৩ তারিখ এই দুই কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার করে দুদকের প্রধান কার্যালয়ে বদলি করা হয়।

দুদক সূত্রে জানা গেছে, ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ ওঠার পর এই দুই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত করা হয়। তদন্তে অভিযোগের প্রমাণ পাওয়ায় ওই দুই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

সম্প্রতি দুদকের সমন্বিত পাবনা জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমানের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ ওঠে। ঘুষ গ্রহণের অভিযোগসংক্রান্ত একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, এক ব্যবসায়ীসহ ব্যাংক কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে একটি বেসরকারি ব্যাংক থেকে ঋণের নামে চার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ অনুসন্ধানের দায়িত্ব পান তিনি। দায়িত্ব পালনকালে অভিযোগ থেকে অব্যাহতির আশ্বাস দিয়ে তিনি হক টেক্সটাইলসের মালিক ব্যবসায়ী শামসুল হকের কাছে ২০ লাখ টাকা ঘুষ দাবি করেন। কয়েক দফায় ৭৬ হাজার টাকা গ্রহণ করেন এই কর্মকর্তা। এ ঘটনার পর মোস্তাফিজুর রহমানকে পাবনা থেকে দুদকের যশোর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে বদলি করা হয়েছিল।

অন্যদিকে এক পুলিশ কর্মকর্তাকে মামলার ভয় দেখিয়ে সাড়ে পাঁচ লাখ টাকা ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ ওঠে দুদকের বগুড়া সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপসহকারী পরিচালক (ডিএডি) সুদীপ কুমার চৌধুরীর বিরুদ্ধে। গত ৯ এপ্রিল এক সংবাদ সম্মেলনে ওই পুলিশ কর্মকর্তার বোন রুমাইয়া শিরিন দাবি করেন, তাঁর ভাই আলমগীর হোসেন বগুড়া জেলা পুলিশে গোয়েন্দা বিভাগের উপপরিদর্শক (এসআই) হিসেবে কর্মরত ছিলেন। আলমগীরের বিরুদ্ধে এক নোটিশের মাধ্যমে সম্পদ বিবরণী দাখিল করতে বলা হয়। এরপর তিনি সম্পদের বিবরণী দাখিল করেন। সম্পদ বিবরণী যাচাইয়ের দায়িত্ব পান সুদীপ কুমার চৌধুরী। এরপর তিনি মামলার ভয় দেখিয়ে সাত লাখ টাকা ঘুষ দাবি করেন। ৫ লাখ ৮০ হাজার টাকা ঘুষ দিলেও তাতে সন্তুষ্ট না হয়ে তাঁর ভাইয়ের বিরুদ্ধে মামলা করেন সুদীপ। এদিকে এই সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে অভিযোগ ওঠার পর সুদীপকে কুড়িগ্রামে বদলি করা হয়।