ঢাকায় পুলিশ কনস্টেবল বাদল হত্যায় ৫ জনের মৃত্যুদণ্ড

আদালত
প্রতীকী ছবি

এক দশক আগে ঢাকায় পুলিশ কনস্টেবল বাদল মিয়াকে হত্যার দায়ে পাঁচজনের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার ঢাকার সপ্তম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ তেহসিন ইফতেখার এ রায় ঘোষণা করেন। ওই আদালতের বেঞ্চ সহকারী শেখ আবদুল আহাদ প্রথম আলোকে এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেন।

মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত পাঁচ আসামি হলেন রিপন নাথ ঘোষ, বিশ্বজিৎ চন্দ্র দাস, ইব্রাহিম খলিল, রতন চন্দ্র দাস ও হুমায়ুন। মামলার পাঁচ আসামির মধ্যে তিনজন কারাগারে আছেন। পলাতক আসামি রিপন ও হুমায়ুনের বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।

মামলার নথিপত্র ও আসামিদের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দির তথ্য বলছে, ২০১৩ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি রাতে পুলিশ কনস্টেবল বাদল মিয়াকে রাজধানীর শাহবাগ থেকে মতিঝিলে ডেকে নিয়ে যান ঘাতকেরা। সেখানে যাওয়ার পর একটি গাড়িতে ফেলে তাঁকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়। পরে তাঁর মরদেহ মতিঝিলের টি অ্যান্ড টি কলোনি স্কুল অ্যান্ড কলেজের সামনের রাস্তায় ফেলে যান তাঁরা।

এ ঘটনায় মতিঝিল থানায় মামলা হয়। মামলাটি তদন্ত করে ২০১৫ সালের ৫ এপ্রিল পাঁচ আসামির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় পুলিশ।

মামলার নথি অনুযায়ী, পুলিশ কনস্টেবল বাদল মিয়া বিশ্বজিৎ চন্দ্র দাসের পরিচিত ছিলেন। এক মামলায় বিশ্বজিৎকে গ্রেপ্তার করা হয়। বিষয়টি নিয়ে বাদল মিয়ার ওপর ক্ষিপ্ত হন তিনি। এরপর পরিকল্পনা করে তাঁকে শাহবাগ থেকে ডেকে নিয়ে গাড়িতে তুলে শ্বাসরোধে হত্যা করেন আসামিরা।