হায়দরাবাদ হাউসে বৈঠকে শেখ হাসিনা ও নরেন্দ্র মোদি

নয়াদিল্লির হায়দরাবাদ হাউসে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি
ছবি: ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ফেসবুক পেজ

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বৈঠক করছেন। খবর এএনআইয়ের।

আজ মঙ্গলবার নয়াদিল্লির হায়দরাবাদ হাউসে দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীদের এই শীর্ষ বৈঠক অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

কূটনৈতিক সূত্রে জানা গেছে, দুই শীর্ষ নেতা দ্বিপক্ষীয় ও আঞ্চলিক বিষয়ে আলোচনার সময় ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে নতুন পথনকশা তৈরিতে জোর দেবেন। বিশেষ করে গত ৫০ বছরের অভিজ্ঞতার আলোকে পরিবর্তিত পরিস্থিতির সঙ্গে খাপ খাইয়ে অংশীদারত্ব নতুন স্তরে নেওয়ার বিষয়ে গুরুত্ব দেবেন। নানা মাত্রায় সংযুক্তির পাশাপাশি আঞ্চলিক অগ্রগতি নিশ্চিত করবে, এমন প্রকল্পগুলো এগিয়ে নেওয়ার বিষয়টি আলোচনায় গুরুত্ব পাবে।

আরও পড়ুন

দিনের কর্মসূচির শুরুতে আজ সকালে ভারতের রাষ্ট্রপতি ভবনে শেখ হাসিনাকে গার্ড অব অনারের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিক অভ্যর্থনা জানানো হয়।

শেখ হাসিনা রাষ্ট্রপতি ভবনে গেলে তাঁকে স্বাগত জানান নরেন্দ্র মোদি। দুই প্রধানমন্ত্রী করমর্দন করেন। পরে শেখ হাসিনাকে গার্ড অব অনার দেওয়া হয়।

রাষ্ট্রপতি ভবনে শেখ হাসিনা বলেন, ‘ভারত আমাদের বন্ধু। আমি যখনই ভারতে আসি, এটা আমার জন্য আনন্দের। বিশেষত আমরা সব সময় আমাদের মুক্তিযুদ্ধকালে ভারতের অবদানের কথা স্মরণ করি। আমাদের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। আমরা পরস্পরকে সহযোগিতা করছি।’

আরও পড়ুন

শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘আমি আশা করি, একটি অত্যন্ত ফলপ্রসূ আলোচনা হবে। আমাদের মূল লক্ষ্য অর্থনৈতিক বিকাশ। আমাদের জনগণের মৌলিক চাহিদা পূরণ করা, যা আমরা করতে সক্ষম হব। বন্ধুত্বের মাধ্যমে আপনি যেকোনো সমস্যার সমাধান করতে পারেন। সুতরাং, আমরা সর্বদা তা করি।’

রাষ্ট্রপতি ভবনের আনুষ্ঠানিকতার পর শেখ হাসিনা রাজঘাট গান্ধী সমাধিস্থলে গিয়ে মহাত্মা গান্ধীর প্রতি শ্রদ্ধা জানান। এরপর দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী শীর্ষ বৈঠক বসেন।

বিকেলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রথমে ভারতের উপরাষ্ট্রপতি জগদ্বীপ ধনখড় এবং পরে ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন।

গতকাল সোমবার চার দিনের সফরে দিল্লি যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিন বছর বিরতির পর প্রধানমন্ত্রীর দিল্লি সফর দুই দেশের সম্পর্কে নতুন মাত্রা যোগ করবে, এমনটা আশাবাদ ভারতের। আর বাংলাদেশ মনে করছে, এ সফরের মধ্য দিয়ে নানা মাত্রায় সংযুক্তির মাধ্যমে দুই দেশের পাশাপাশি পুরো অঞ্চল বিকশিত হতে পারে।

আরও পড়ুন