ভেজাল ওষুধ বিক্রি করলে ১০ বছর কারাদণ্ড

ছবি: পিআইডি

সংশোধন করে প্রণয়ন করা ওষুধ আইনের খসড়া নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। জাতীয় সংসদে এটি পাস হলে অপরাধের ধরন অনুযায়ী দায়ী ব্যক্তিকে সর্ব্বোচ্চ ১০ বছরের কারাদণ্ড ও ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ড ভোগ করতে হবে। ভেজাল ওষুধ উৎপাদন, বিক্রয়, মজুত, বিতরণসহ কয়েকটি অপরাধের জন্য সর্বোচ্চ এই শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে। বর্তমান আইনে অপরাধের ধরন অনুযায়ী সর্ব্বোচ্চ শাস্তি তিন বছরের কারাদণ্ড ও দুই লাখ টাকা জরিমানা।

আজ বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয় মন্ত্রিসভার এই বৈঠক। প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে ভার্চ্যুয়ালি বৈঠকে যোগ দেন। আর মন্ত্রীরা সচিবালয়ের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে বৈঠকে অংশ নেন। পরে সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে বৈঠকের সিদ্ধান্ত জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।

খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ওষুধ প্রশাসনের কার্যক্রম কী হবে, মান কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হবে, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে ওষুধ উৎপাদন, বিক্রয়, মজুত ও বিতরণের লাইসেন্স কীভাবে দেওয়া হবে, সে বিষয় রয়েছে আইনের খসড়ায়। কেউ যদি লাইসেন্স অনুযায়ী যা উৎপাদন করার কথা তার বাইরে কোনো কিছু উৎপাদন করে তাহলে কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে, তা–ও উল্লেখ করে দেওয়া হয়েছে আইনের খসড়ায়।

আইনের খসড়ায় থাকা শাস্তির কথা বলতে গিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, প্রায় ২২টি ধারায় শাস্তির কথা বলা হয়েছে। তবে মন্ত্রিসভা বলেছে, এত বেশি ধারায় শাস্তির বিষয়গুলো না রেখে গ্রুপ গ্রুপ করে আনা যায় কিনা। আইনি যাচাইয়ের (ভ্যাটিং) সময় এটি দেখা হবে। লাইসেন্স ব্যতিত কেউ ওষুধ উৎপাদন ও আমদানি করলে ১০ বছর কারাদণ্ড ও অনধিক ১০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ড দেওয়া যাবে। এটিই সর্ব্বোচ্চ শাস্তি। কেউ নিবন্ধন ছাড়া ওষুধ উৎপাদন করে রপ্তানি, বিক্রয়, মজুত অথবা প্রদর্শন করলে এবং ভেজাল ওষুধ উৎপাদন, বিক্রয়, মজুত ও বিতরণ করলেও এই শাস্তি পেতে হবে। সরকারি ওষুধ চুরি করে বিক্রি করলেও একই শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে আইনের খসড়ায়।

এ ছাড়া মন্ত্রিসভার বৈঠকে জাতীয় শিল্পনীতি, ২০২২-এর খসড়াসহ আরও কয়েকটি বিষয় অনুমোদন দেওয়া হয়।