লক্ষ্মীপুরে ভোটকেন্দ্র থেকে দুই প্রার্থীসহ আটক ৮

লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়নে ভোট কেন্দ্রে প্রভাব বিস্তার ও জাল ভোট দেওয়ার চেষ্টার অভিযোগে ইউপি সদস্য প্রার্থীসহ ৮ জনকে আটক করা হয়। আজ পূর্ব চরমনসা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রেছবি: সংগৃহীত

লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রে প্রভাব বিস্তার ও জাল ভোট দেওয়ার চেষ্টার অভিযোগে দুই সদস্য প্রার্থীসহ আটজনকে আটক করা হয়েছে। আজ রোববার ইউনিয়নের পূর্ব চরমনসা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র থেকে তাঁদের আটক করেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।

সীমানা জটিলতা থাকায় লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়ন পরিষদে ১৩ বছর নির্বাচন স্থগিত ছিল। ইউনিয়নগুলোয় সকাল আটটায় ৪৬টি কেন্দ্রে একযোগে ভোট গ্রহণ শুরু হয়। বিকেল চারটা পর্যন্ত এ ভোট গ্রহণ চলে।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও অভিযান) হাসান মোস্তফা ও রামগতি সহকারী কমিশনার (ভূমি) মানস চন্দ্র দাস জানান, তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়নের চরমনসা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে প্রভাব বিস্তারের অভিযোগে সদস্য প্রার্থী মো. নুরনবী ও মো. শাহজাহানকে আটক করা হয়। এ কেন্দ্র থেকে একই অভিযোগে প্রার্থীদের এজেন্ট গিয়াস উদ্দিন ও মো. দিদারকেও আটক করা হয়। এ ছাড়া একই কেন্দ্র থেকে রোকেয়া বেগম নামের এক নারীকে জাল ভোট দেওয়ার চেষ্টার সময় আটক করা হয়েছে। এর আগে হোসেনপুর উচ্চবিদ্যালয় থেকে তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ। তাঁরা সবাই সদর থানায় রয়েছেন।

১৩ বছর পর ভোট হওয়ার কারণে সকাল থেকেই কেন্দ্রগুলোয় নারী ও পুরুষ ভোটারের উপস্থিতি লক্ষ করা যায়। প্রচণ্ড গরম উপেক্ষা করে ভোটাররা দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে থেকে ভোট দিয়েছেন। নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা তৎপর ছিলেন।

জেলা নির্বাচনের কর্মকর্তা মুহাম্মদ শফিকুর রহমান বলেন, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সুষ্ঠু ভোট গ্রহণের জন্য নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশ, বিজিবিসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা সতর্ক ছিলেন।  নির্বাচন নিয়ে কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি।

নির্বাচনী ইউনিয়নগুলো হলো দক্ষিণ হামছাদী, দালাল বাজার, বাঙ্গাখাঁ, লাহারকান্দি ও তেওয়ারীগঞ্জ। ৫টি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ২৮ জন, সদস্য পদে ২২৫ জন ও সংরক্ষিত ওয়ার্ডে ৬৩ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ইউনিয়নগুলোয় ভোটার ১ লাখ ২২ হাজার ৯২৮ জন।