যুক্তরাষ্ট্রকে নয়াদিল্লির বার্তা প্রসঙ্গে
ভারত কিছু বললে এ অঞ্চলের উপকারে আসবে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
নয়াদিল্লির শেখ হাসিনা সরকারের পক্ষ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রকে বার্তা দেওয়ার খবর ঘিরে আলোচনার মধ্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, ভারত যদি আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য কিছু বলে থাকে, নিশ্চয় তা অত্র এলাকার উপকারে আসবে। আজ রোববার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে নিজের দপ্তরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
ভারত সরকার অত্যন্ত পরিপক্ব সরকার বলে মন্তব্য করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, তারা একটা শক্তিশালী গণতান্ত্রিক দেশ। তারা যেটা ভালো মনে করেছে, সেটাই করেছে। এটা সম্পর্কে কোনো কিছু বলার নেই।
ভারত শেখ হাসিনার পক্ষ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রকে বার্তা দিয়েছে বলে খবর প্রকাশ করেছে জার্মান সম্প্রচারমাধ্যম ডয়চে ভেলে। তাদের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রকে দেওয়া বার্তায় ভারত বলেছে, বাংলাদেশে শেখ হাসিনার সরকার দুর্বল হয়ে পড়লে ভূরাজনৈতিক দিক থেকে তা ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র কারও পক্ষেই সুখকর হবে না। কারণ, শেখ হাসিনার সরকার দুর্বল হয়ে পড়লে জামায়াতে ইসলামীর মতো সংগঠনের ক্ষমতা বাড়বে বলে মনে করে ভারত। যুক্তরাষ্ট্র জামায়াতকে একটি রাজনৈতিক সংগঠন হিসেবে দেখে। মুসলিম ব্রাদারহুডের সঙ্গে তুলনা করে। কিন্তু ভারত মনে করে, জামায়াত একটি উগ্র মৌলবাদী সংগঠন।
ভারতের বার্তায় বলা হয়েছে, ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের দীর্ঘ স্থলসীমান্ত আছে। বাংলাদেশে জামায়াতের মতো সংগঠন শক্তিশালী হলে ভারতের সীমান্ত নিরাপত্তা সমস্যার মুখে পড়বে। জামায়াতের মতো সংগঠনের সঙ্গে পাকিস্তানের নিবিড় যোগ আছে বলেই মনে করে ভারত।
এই খবরের প্রতিক্রিয়ায় আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের এক দফা দাবিতে আন্দোলনে থাকা বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বাংলাদেশের মানুষের ইচ্ছার বিরুদ্ধে যদি ভারত কোনো পদক্ষেপ নেয়, সেটা হবে অত্যন্ত দুঃখজনক। অপর দিকে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আঞ্চলিক রাজনীতির বিষয়ে এই ভূখণ্ডে ভারত ও আমেরিকার অভিন্ন স্বার্থ রয়েছে। তাই ভারত আমেরিকাকে কিছু বললে তারা তাদের স্বার্থে বলেছে।