আরও একটি মামলায় সোনালী ব্যাংকের সাবেক এমডিসহ নয়জনের কারাদণ্ড

আদালত
প্রতীকী ছবি

ঋণ জালিয়াতির মাধ্যমে সোনালী ব্যাংকের টাকা আত্মসাৎ ও অর্থ পাচারের আরও একটি মামলায় ব্যাংকটির সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ (এমডি) আটজনকে ১৭ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫-এর বিচারক মো. ইকবাল হোসেন আজ রোববার এই রায় দেন। প্রথম আলোকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন আদালতের বেঞ্চ সহকারী সাইফুল ইসলাম।

দণ্ডিত আট আসামি হলেন সোনালী ব্যাংকের সাবেক এমডি হুমায়ুন কবির, উপব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি) মাইনুল হক, মহাব্যবস্থাপক (জিএম) ননী গোপাল নাথ, মীর মহিদুর রহমান, সহকারী মহাব্যবস্থাপক (এজিএম) সাইফুল হাসান, কামরুল হোসেন খান, প্যারাগন নিট কম্পোজিটের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাইফুল ইসলাম (রাজা) ও পরিচালক আবদুল্লাহ আল মামুন।

এ ছাড়া সোনালী ব্যাংকের সাবেক উপমহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) শেখ আলতাফ হোসেনকে আট বছর কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এই ৯ আসামিকে মোট ১ কোটি ২৫ লাখ ৭০ হাজার ২২০ টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

দণ্ডিত ৯ আসামির মধ্যে ৫ জন পলাতক। তাঁরা হলেন হুমায়ুন কবির, সাইফুল হাসান, আবদুল্লাহ আল মামুন, ননী গোপাল নাথ ও সাইফুল হাসান (রাজা)।

মামলার কাগজপত্রের তথ্য বলছে, জালিয়াতির মাধ্যমে সোনালী ব্যাংকের ১ কোটি ২৫ লাখ ৭০ হাজার ২২০ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে সোনালী ব্যাংকের সাবেক এমডি হুমায়ুন কবীরসহ নয়জনকে আসামি করে ২০১৩ সালের ১ জানুয়ারি মামলা করে দুদক। পরের বছর ২০১৪ সালের ২২ মে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় দুদক। আর ২০১৫ সালের ৬ এপ্রিল আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। রাষ্ট্রপক্ষে ৪৪ জন সাক্ষীকে আদালতে হাজির করা হয়।

এর আগে গত ২৫ মে ঋণ জালিয়াতির মাধ্যমে সোনালী ব্যাংকের টাকা আত্মসাতের দায়ে ব্যাংকটির সাবেক এমডি হুমায়ুন কবিরসহ নয়জনকে ১৭ বছর করে কারাদণ্ড দেন আদালত। এ ছাড়া ২০২১ সালের ২৬ ডিসেম্বর ঋণ জালিয়াতির মাধ্যমে সোনালী ব্যাংকের ১ কোটি ৪২ লাখ টাকা আত্মসাতের মামলায় হুমায়ুন কবিরসহ ১১ জনের কারাদণ্ড দেন আদালত।

নথিপত্রের তথ্য বলছে, সোনালী ব্যাংক কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগসাজশ করে রূপসী বাংলা (সাবেক শেরাটন) হোটেল শাখা থেকে হল-মার্ক মোট ২ হাজার ৬৮৬ কোটি ১৪ লাখ টাকা আত্মসাৎ করে। এর মধ্যে স্বীকৃত বিলের বিপরীতে দায় (ফান্ডেড) অর্থ হচ্ছে ১ হাজার ৫৬৮ কোটি ৪৯ লাখ ৩৪ হাজার ৮৭৭ টাকা। এ ঘটনায় ২০১২ সালের ৪ অক্টোবর রমনা থানায় মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন।