হো চি মিনের ঘটনায় অবস্থান তুলে ধরল নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়

নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়

নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে হো চি মিন ইসলামের বক্তব্য দিতে না পারার বিষয়ে নিজেদের অবস্থান তুলে ধরেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তারা বলছে, শিক্ষার মান ধরে রাখার পাশাপাশি সবার জন্য একটি সম্মানজনক পরিবেশ বজায় রাখতে কর্তৃপক্ষ সচেষ্ট। তবে উইমেনস ক্যারিয়ার কার্নিভ্যালে ঘটে যাওয়া ঘটনায় এই লক্ষ্য অর্জন চ্যালেঞ্জের মুখে।

আজ রোববার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে নিজেদের এ অবস্থান তুলে ধরে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

বিশ্ববিদ্যালয়টির বেসরকারি সংগঠন হিরোজ ফর অল ও আইসোশ্যাল আয়োজিত ‘উইমেনস ক্যারিয়ার কার্নিভ্যাল-এক্সপ্লোর ইয়োর ফিউচার উইথ আস’–এর একটি সেশনে গত শুক্রবার হো চি মিন ইসলাম বক্তা হিসেবে আমন্ত্রিত ছিলেন। তবে একটি গোষ্ঠীর (বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের একটি অংশ) আন্দোলনের ফলে শেষ পর্যন্ত তিনি বক্তব্য দিতে পারেননি। হো চি মিন ইসলাম লিঙ্গ রূপান্তরিত নারী (ট্রান্সজেন্ডার)।

লিঙ্গসমতা ও একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক পরিবেশ গড়ে তুলতে সংগঠক ও বক্তাদের সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করা হবে বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করেছে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়। তারা বলছে, কর্তৃপক্ষ ক্যাম্পাসে সবার জন্য একটি নিরাপদ, সহযোগিতামূলক স্থান বজায় রাখতে নিবেদিত।

বিবৃতিতে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় বলেছে, ‘আমরা এই অনুষ্ঠানে হো চি মিন ইসলামের অংশগ্রহণ বিষয়ে জনগণের ভিন্ন মতামতকে সম্মান করি। এই দৃষ্টিভঙ্গিগুলো আমাদের সমাজের বিভিন্ন বিশ্বাস ও মূল্যবোধকে প্রতিফলিত করে। দৃষ্টিভঙ্গির বিস্তৃতি ও সংলাপকে উৎসাহিত করতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ শিক্ষার শক্তিতে বিশ্বাস করে। হো চি মিনের অংশগ্রহণের উদ্দেশ্য ছিল, কর্মক্ষেত্রে প্রান্তিক সম্প্রদায়ের অর্জন তুলে ধরা।’

অনুষ্ঠানে হো চি মিন অন্যতম বক্তা হলেও কিছু অপ্রত্যাশিত ঘটনার ফলে নির্ধারিত আলোচনা বাতিল করা হয় বলে বিশ্ববিদ্যালয়টির বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, বক্তা ও আয়োজক উভয়ের জন্য দুঃখজনক এই ঘটনাকে বিশ্ববিদ্যালয় বিবেচনায় নিয়েছে।

এ ঘটনা সম্পর্কে ভুল তথ্য ছড়ানো হচ্ছে বলেও বিবৃতিতে উল্লেখ করেছে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়। উদাহরণ টেনে তারা বলেছে, বলা হচ্ছে, হো চি মিনের আলোচনা বাতিল করেছে উপাচার্য কার্যালয়। অথচ উপাচার্য আতিকুল ইসলাম ওই সময় দেশের বাইরে ছিলেন। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমানে কোনো সহ–উপাচার্যও নেই।

আরও পড়ুন