অভিবাসী নারী শ্রমিকের ‘স্বাভাবিক মৃত্যু’ কতটা স্বাভাবিক

হাজেরা বেগমের পাসপোর্ট হাতে তাঁর আড়াই বছর বয়সী ছেলে বায়তুল
ছবি: মানসুরা হোসাইন

সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশ থেকে নারী শ্রমিকের লাশ দেশে আসছে। সংশ্লিষ্ট দেশ থেকে লাশের সঙ্গে মৃত্যুর সনদ দেওয়া হয়। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে এই সনদে মৃত্যুর কারণ ‘স্বাভাবিক’ লেখা হচ্ছে। বিশেষ করে গত তিন বছরে ‘স্বাভাবিক মৃত্যু’লেখা সনদের সংখ্যা অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে। ‘স্বাভাবিক মৃত্যু’ হওয়া এসব নারী শ্রমিকের বেশির ভাগের বয়স ৪০ বছরের কম। পরিবারের সদস্যসহ অভিবাসন-বিশেষজ্ঞরা এই ‘স্বাভাবিক মৃত্যু’ কতটা স্বাভাবিক, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন।

ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেট আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সরকারের প্রবাসী কল্যাণ ডেস্ক রয়েছে। এই ডেস্ক বাইরে থেকে আসা শ্রমিকের লাশের তথ্য রাখে। তবে তারা নারী শ্রমিকের লাশের তথ্য আলাদাভাবে নথিভুক্ত করে না।

প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের ২০২০ থেকে ২০২২ সালের তথ্য বলছে, এই তিন বছরে ৪০৪ জন নারী শ্রমিকের লাশ দেশে এসেছে। তাঁদের মধ্যে ২২৭ জনের ক্ষেত্রে ‘স্বাভাবিক মৃত্যু’লেখা ছিল।

বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ব্র্যাক দেশে আসা নারী শ্রমিকদের লাশের তথ্য আলাদাভাবে বিশ্লেষণ করে। সংস্থাটির তথ্য বলছে, ২০১৬ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত সাত বছরে ৭১৪ নারী শ্রমিকের লাশ দেশে এসেছে। তাঁদের মধ্যে ‘স্বাভাবিক’ মৃত্যুর সনদ লেখা লাশের সংখ্যা ২৬২। আর ২০২০ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত ৩ বছরে ৩১৯ নারী শ্রমিকের লাশ দেশে আসে। তাঁদের মধ্যে ২২০ জনের ক্ষেত্রে লেখা ছিল ‘স্বাভাবিক মৃত্যু’।

ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্য ও অভিবাসন-বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শ্রমিক যে দেশে মারা যাচ্ছেন, সে দেশের সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক মৃত্যুসনদ দেন। সংশ্লিষ্ট দেশের বাংলাদেশ দূতাবাস এই সনদ লাশের সঙ্গে দেশে পাঠায়। বিদেশে বা দেশে শ্রমিকের মৃত্যুর কারণ নিয়ে কোনো পুলিশি তদন্ত হয় না। এ কারণে শ্রমিকের মৃত্যুর কারণ সনদে যা লেখা থাকে, তা নিয়ে পরিবারের কোনো আপত্তি থাকলেও তাদের কিছু করার থাকে না।

বিদেশে মারা যাওয়া শ্রমিকের লাশ দেশে আনার কাজটি প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের মাধ্যমে হয়। লাশ দাফনের জন্য তারা বিমানবন্দরে পরিবারকে ৩৫ হাজার টাকা দেয়। পরে মারা যাওয়া শ্রমিকের পরিবারকে তিন লাখ টাকা আর্থিক অনুদান দেয়।

হাজেরা বেগমের তিন ছেলের অভিভাবক এখন নাদিরা বেগম
ছবি: মানসুরা হোসাইন

কোনো কোনো লাশ দেশে আনতে ছয় মাসের বেশি সময় চলে যায় বলে বোর্ড সূত্রে জানা যায়। বোর্ডের একাধিক কর্মকর্তা বলেন, শ্রমিকের মৃত্যুর কারণ নিয়ে পরিবারের সন্দেহ, তদন্ত দাবি—এমন আবেদনের নজির নেই। তবে লাশ হয়ে দেশে ফেরা বেশ কয়েকজন নারী শ্রমিকের পরিবার এই প্রতিবেদকের কাছে তাদের সন্দেহের কথা জানিয়েছেন।

প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশ থেকে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি নারী শ্রমিক গেছেন সৌদি আরবে। তাঁরা মূলত গৃহশ্রমিক হিসেবে গেছেন। এর বাইরে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে নারীরা গেছেন। তাঁরা পোশাক কারখানাসহ বিভিন্ন খাতে কাজ করছেন। নারী শ্রমিকদের লাশ সবচেয়ে বেশি সৌদি আরব থেকে এসেছে।

ব্র্যাকের গত সাত বছরের পরিসংখ্যান বলছে, এই সময়ে যেসব নারী শ্রমিকের লাশ দেশে এসেছে, তাঁদের মধ্যে ১৩৮ জনের মৃত্যুর কারণ লেখা ছিল ‘স্ট্রোক’। ১১৬ জনের ক্ষেত্রে ‘আত্মহত্যা’। ১০৮ জনের ক্ষেত্রে ‘দুর্ঘটনা’। ১৬ জনের ক্ষেত্রে ‘হত্যা’। এর বাইরে করোনা, ক্যানসার, অজানা রোগ বা কোনো কারণ উল্লেখ না করেই দেশে নারী শ্রমিকের লাশ পাঠানোর ঘটনা ছিল।

অভিবাসন নিয়ে কাজ করা রিফিউজি অ্যান্ড মাইগ্রেটরি মুভমেন্টস রিসার্চ ইউনিট (রামরু) ২০১৭ সাল থেকে দেশে আসা ৫৪৮ নারী শ্রমিকের মৃত্যুর কারণ ও করণীয় বিষয়ে একটি গবেষণা করেছে। ‘ডেথ অব ফিমেল মাইগ্রেন্ট ওয়ার্কার্স ইন ডেস্টিনেশন কান্ট্রিজ’ শিরোনামের এ গবেষণার প্রতিবেদন ৩১ জানুয়ারি আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করবে সংস্থাটি। গবেষণায় সনদে থাকা মৃত্যুর কারণ বিশ্লেষণ করা হয়েছে। সে অনুযায়ী, ৬৯ শতাংশ নারী শ্রমিকের ‘স্বাভাবিক’ ও ৩১ শতাংশের ‘অস্বাভাবিক’ মৃত্যুর তথ্য পাওয়া গেছে।

রামরুর প্রতিষ্ঠাতা চেয়ার তাসনিম সিদ্দিকী প্রথম আলোকে বলেন, গবেষণার তথ্য আন্তর্জাতিক পরিসরে তুলে ধরা হবে। প্রতিটি মৃত্যুর ক্ষেত্রে দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্ত প্রয়োজন। দূতাবাসগুলোকে শ্রমিকের মৃত্যুর কারণ নিয়ে প্রশ্ন তুলতে হবে।

প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী ইমরান আহমদ প্রথম আলোকে বলেন, লাশ দেশে ফেরার পর শ্রমিকের মৃত্যু নিয়ে প্রশ্ন তোলার মতো পরিস্থিতি এখনো আসেনি। লাশ আসার পর তদন্তের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট দেশকে শ্রমিকের মৃত্যু নিয়ে আপত্তির কথা জানালে তা শ্রমবাজারের জন্য চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠতে পারে। তাই লাশ সংশ্লিষ্ট দেশে থাকা অবস্থাতেই দূতাবাসকে ব্যবস্থা নিতে হবে।

২০১৯ সালের ২৪ অক্টোবর ভোরে কফিনে মোড়ানো অবস্থায় দেশে আসে খুলনার আবিরনের লাশ
ছবি: মানসুরা হোসাইন

বেশির ভাগের বয়স ৪০ বছরের কম

ব্র্যাকের পরিসংখ্যান বলছে, বিদেশে গিয়ে ‘স্বাভাবিক মৃত্যু’ হওয়া নারী শ্রমিকদের বেশির ভাগের বয়স ছিল ৪০ বছরের কম।

শ্রমিকদের বিদেশ যাওয়ার আগে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা বাধ্যতামূলক। তাঁদের বড় বা জটিল কোনো রোগ থাকলে স্বাস্থ্য পরীক্ষাতেই বাদ যাওয়ার কথা। তাই মৃত্যুর সনদে থাকা ‘স্বাভাবিক মৃত্যু’ নিয়ে সন্দেহ করছেন মারা যাওয়া শ্রমিকদের পরিবারের সদস্যরা।

নারায়ণগঞ্জের রীনা বেগম সৌদি আরবে গৃহকর্মীর কাজ করতেন। তিনি মারা যাওয়ার মাত্র ১৪ মাস আগে সৌদি গিয়েছিলেন। গত বছরের ৮ জুন রীনার সঙ্গে শেষবার কথা হয় তাঁর স্বামী রহিম চৌধুরীর। তার পর থেকে তিনি স্ত্রীর মুঠোফোন নম্বরটি বন্ধ পাচ্ছিলেন। এক মাস পর অন্য একজন তাঁকে ফোন করে রীনার মারা যাওয়ার খবর জানান। গত বছরের অক্টোবরে রীনার লাশ দেশে আনা সম্ভব হয়।

রহিম চৌধুরী বলেন, তাঁর স্ত্রীর বয়স ৪০ বছরের বেশি নয়। লাশের সঙ্গে আসা কাগজে লেখা ছিল স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু এ নিয়ে তাঁর সন্দেহ আছে। ৮ জুন স্ত্রীর সঙ্গে তাঁর কথা হয়েছে। সে সময় তিনি স্বাভাবিক ছিলেন। ১২ জুন তিনি মারা গেছেন বলে মৃত্যু সনদে লেখা আছে। তাঁর স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে, এটা বিশ্বাসযোগ্য নয়। এই সন্দেহের কথা কাকে বলবেন, তা তিনি জানেন না।

লাশের গায়ে কোনো আঘাতের চিহ্ন ছিল কি না, জানতে চাইলে রহিম চৌধুরী বলেন, লাশ বাড়িতে আনার পর সবাই দ্রুত দাফনের পরামর্শ দেন। তাঁরা শুধু মুখ দেখার সুযোগ পেয়েছেন।

হবিগঞ্জের ববিতা গত বছর সৌদি আরবে মারা যান। সনদে মৃত্যুর কারণ লেখা হয়েছে ‘স্বাভাবিক’। তাঁর বাবা নুরুল ইসলাম বলেন, কাগজপত্রে ববিতার বয়স লেখা হয়েছিল ২৮ বছর। তবে তাঁর বয়স আরও কম। তাঁর মেয়ের বড় কোনো রোগব্যাধি ছিল না।

ঝিনাইদহের শাকিলা খাতুন সৌদি আরবে যাওয়ার দেড় বছরের মাথায় গত বছর মারা যান। তাঁর চাচা মোমিন মিয়া বলেন, শাকিলার বয়স ১৯-২০ বছরের মতো ছিল। সৌদিতে যাওয়ার পর বিভিন্ন সময় নির্যাতনের শিকার হওয়ার কথা জানিয়েছিলেন শাকিলা।

মোমিন মিয়া বলেন, ‘ভাইঝির মৃত্যু নিয়া সন্দেহ হইছে। সৌদি থেকে বইলা দিচ্ছে স্বাভাবিক মৃত্যু। লাশ দেশে আননের পর কোনো তদন্ত হয় নাই। তাই আমরা মাইন্যা নিতে বাধ্য হইছি।’

লাশের সঙ্গে আসা মৃত্যুর সনদ
ছবি: সংগৃহীত

‘আত্মহত্যা’ নিয়ে পরিবারের সন্দেহ

সৌদি আরবে যাওয়ার মাত্র ১১ দিনের মাথায় গত বছরের ১৮ জুলাই মারা যান নরসিংদীর রায়পুরার হাজেরা বেগম। তাঁর মৃত্যুর সনদে লেখা হয়, তিনি ‘আত্মহত্যা’ করেছেন।

হাজেরার তিন ছেলে আছে। তারা হলো নয় বছর বয়সী রাহাত, আট বছর বয়সী সিফাত ও আড়াই বছর বয়সী বাইতুল। তাদের নিয়ে গত ডিসেম্বরের প্রথম আলো কার্যালয়ে এসেছিলেন হাজেরার বড় বোন নাদিরা। হাজেরার পাসপোর্ট সাইজের ছবি হাতে নিয়ে নাড়াচাড়া করছিল বাইতুল। তখন তাকে নাদিরা বলেন, ‘মা কই?’ বাইতুলের উত্তর, ‘মইরা গেছেগা।’

নাদিরা প্রথম আলোকে তখন বলেছিলেন, হাজেরার বয়স ছিল ২৬। স্বামী আরেকটি বিয়ে করে চলে গেলে তিন সন্তান হাজেরার কাছে থাকে। সন্তানদের জন্যই তিনি বিদেশে কাজ করতে গিয়েছিলেন। সেই মানুষটি কি আত্মহত্যা করতে পারে? আর যদি করেও থাকে, নিশ্চয়ই তেমন কোনো পরিস্থিতি সেখানে তৈরি হয়েছিল। তাঁর লাশ দেশে আনতে তাঁদের অনেক দৌড়ঝাঁপ করতে হয়েছে। তাঁদের অন্য ভাইবোন নেই। তাঁর নিজের দুই ছেলে আছে। তাঁর স্বামী তেমন কিছু করেন না। এখন হাজেরার তিন ছেলেকে তাঁরই লালন-পালন করতে হচ্ছে।

মৃত্যুর ছয় মাস পর গত বছর সৌদি আরব থেকে দেশে আসে ফরিদপুরের রেশমার লাশ। সনদে তাঁর মৃত্যুর কারণ লেখা ছিল ‘আত্মহত্যা’। বাবা ছিদ্দিক মাতুব্বর বলেন, তাঁর মেয়ের বয়স বাড়িয়ে ২৯ বছর লিখতে বলেছিল দালাল। আসলে তাঁর বয়স আরও কম ছিল। মেয়ের লাশ পেয়েছেন, কবর দিতে পেরেছেন, এটুকুই তাঁর একমাত্র সান্ত্বনা। রেশমার পাঁচ বছর বয়সী একটি মেয়ে আছে। এখন তার দেখভাল ছিদ্দিককে করতে হয়।

২৫ বছর বয়সী জহুরা বেগম সৌদি আরবে গৃহকর্মীর কাজ করতে গিয়েছিলেন। তিনি ২০১৯ সালে লাশ হয়ে ফেরেন। জহুরা মারা যাওয়ার ১০ মাস পর তাঁর লাশ দেশে আনা সম্ভব হয়। জহুরার বড় বোন রোখসানা বলেন, ‘মনডায় কয়, বইনডারে কেউ মাইরা ফালাইছে।’

আরও পড়ুন

প্রাণ নিয়ে দেশে সুমি

২০১৯ সালের ১৫ নভেম্বর সৌদি আরব থেকে দেশে ফেরেন পঞ্চগড়ের সুমি আক্তার। একই বছরের মে মাসে তিনি গৃহকর্মীর কাজ নিয়ে সৌদি গিয়েছিলেন।

সৌদিতে থাকা অবস্থায় নির্যাতনের শিকার হন সুমি। তখন তিনি এক ভিডিওতে বলেছিলেন, ‘ওরা আমারে মাইরা ফালাইব। আমারে দেশে ফিরাইয়া নিয়া যান। আমি আমার সন্তান ও পরিবারের কাছে ফিরতে চাই।’

সুমির ভিডিও ফেসবুকে ভাইরাল হয়। পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা করা হয়। অভিযোগ করা হয় প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ে। সহায়তার জন্য ব্র্যাকের মাইগ্রেশন প্রোগ্রামেও আবেদন করা হয়। পরে জেদ্দা কনস্যুলেটের হস্তক্ষেপে সুমিকে তাঁর নিয়োগকর্তার বাড়ি থেকে উদ্ধার করে দেশটির পুলিশ।

হত্যার শিকার আবিরন

২০১৯ সালের ২৪ অক্টোবর ভোরে কফিনে মোড়ানো অবস্থায় দেশে আসে খুলনার আবিরনের লাশ। লাশের সঙ্গে থাকা সনদে তাঁর মৃত্যুর কারণ লেখা হয় ‘হত্যা’। সেদিন প্রথম আলো অনলাইনে ‘কফিনে ফিরল আবিরনের স্বপ্নও’ শিরোনামের সংবাদ প্রকাশিত হয়।

প্রতিবেদনটি জাতীয় মানবাধিকার কমিশন স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে আমলে নেয়। তারা এক সদস্যবিশিষ্ট একটি তথ্যানুসন্ধান কমিটি গঠন করে।

২০২১ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি আবিরন হত্যা মামলায় সৌদির গৃহকর্ত্রীকে মৃত্যুদণ্ডের রায় দেন দেশটির আদালত। এ রায়ের বিরুদ্ধে তিনি আপিল করেছেন। আপিল মামলা এখন বিচারাধীন।

আবিরনের বোনের স্বামী এস এম আইয়ুব আলী প্রথম আলোকে বলেন, লাশ দেশে ফেরার পর তাঁরা সরকার থেকে তিন লাখ টাকা পেয়েছেন। বেতনভাতা দাবি করলে পরে সৌদি আরব থেকে তাঁরা আরও তিন লাখ ৪০ হাজার টাকার মতো ক্ষতিপূরণ পান।

আরও পড়ুন

প্রতিটি মৃত্যুর পুলিশি তদন্ত দরকার

ব্র্যাকের অভিবাসন কর্মসূচির প্রধান শরিফুল হাসান প্রথম আলোকে বলেন, বিদেশে নারী শ্রমিকের মৃত্যু যে কারণেই হোক, সংশ্লিষ্ট দেশে বাংলাদেশ দূতাবাসের মাধ্যমে প্রতিটি মৃত্যুর পুলিশি তদন্ত করতে হবে। সংশ্লিষ্ট দেশ অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা না নিলে তা আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তুলে ধরতে হবে। আর লাশ দেশে আসার পর পরিবার অভিযোগ করলে তারও তদন্ত করতে হবে। শুধু কারণ লিখে লাশের সঙ্গে চিকিৎসকের দেওয়া মৃত্যুর সনদ পাঠিয়ে দায় শেষ করা যাবে না।

প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব আহমেদ মুনিরুছ সালেহীন প্রথম আলোকে বলেন, মৃত্যুর কারণ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রত্যয়নের বাইরে এ পর্যায়ে তাঁর কোনো মন্তব্য নেই।

আরও পড়ুন