চট্টগ্রামের সন্দ্বীপে এক স্কুলছাত্রীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের পর খুনের মামলায় পাঁচজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আজ সোমবার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩–এর বিচারক জয়নাল আবেদীন এই রায় দেন।

ট্রাইব্যুনালের সরকারি কৌঁসুলি জিকো বড়ুয়া প্রথম আলোকে বলেন, আদালত পাঁচ আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড, ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও তিন মাস করে কারাদণ্ড দিয়েছেন। আসামিরা হলেন আকবর হোসেন, মোশাররফ হোসেন, নুরুল আবছার, আবুল বশর ও মো. সুমন।

আদালত সূত্র জানায়, ২০১৫ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর সন্দ্বীপ উপজেলার রহমপুর উচ্চবিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী সুমাইয়া ইসলাম বাসা থেকে বের হয়ে স্কুলে যায়। কিন্তু ছুটির পরও ফিরে না আসায় পরিবারের লোকজন খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। পরদিন দুপুরে ছাত্রীটির বাড়ির পাশে সূচনা কলোনির উত্তরে বিলের মধ্যে কচুরিপানা জমা হাঁটুপানিতে তার লাশ পাওয়া যায়। পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে। সেখানে প্রাথমিকভাবে ধর্ষণের আলামত পাওয়া যায়। পরে ময়নাতদন্তের জন্য স্কুলছাত্রীর লাশ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়। এ ঘটনায় ছাত্রী মা পারভীন আক্তার বাদী হয়ে থানায় মামলা করেন। তদন্ত শেষে পুলিশ পরের বছরের ৬ জানুয়ারি আদালতে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয়। ২০১৭ সালের ২১ আগস্ট আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে এই মামলার বিচার শুরু হয়। নয়জন সাক্ষীর সাক্ষ্য শেষে আদালত এই রায় দেন।

ট্রাইব্যুনালের বেঞ্চ সহকারী মোরশেদ আলম প্রথম আলোকে বলেন, রায় ঘোষণার সময় আসামি আকবর হোসেন, মোশাররফ হোসেন ও নুরুল আবছার উপস্থিত ছিলেন। পরে তাঁদের আদালতের নির্দেশে কারাগারে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। পলাতক আসামি আবুল বশর ও সুমনের বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।