চট্টগ্রাম নগরের বাজারগুলোতে সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম বেড়েছে অন্তত ১৫ টাকা। গত সপ্তাহে মানভেদে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৬৫ থেকে ৭০ টাকায়। আজ তা বিক্রি হয়েছে ৮০ থেকে ৮৫ টাকায়।
নগরের চকবাজার কাঁচাবাজার ও আশপাশের দোকানে আজ শুক্রবার সকালে গিয়ে দেখা যায়, প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৮০ থেকে ৮৫ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। এ ছাড়া বাজারের ১০০ গজের মধ্যে বিভিন্ন খুচরা দোকানে দাম চাওয়া হচ্ছে ৯০ টাকা।
চার দিন আগেই ৬৮ টাকা দরে পেঁয়াজ নিয়ে গেছি। আজ কিনতে হয়েছে ৮৫ টাকায়জামাল উদ্দিন, চট্টগ্রাম নগরের বাসিন্দা
চকবাজার তেলপট্টি মোড় এলাকার মুদিদোকানি আব্বাস হোসেন বলেন, পাইকারি বাজার থেকে পেঁয়াজ কিনতে হচ্ছে ৭৫ থেকে ৮০ টাকায়। পরিবহন খরচ ও অন্যান্য খরচ মিলিয়ে বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ৮৫ টাকায়।
চকবাজারে বাজার করতে আসা কাপাসগোলা এলাকার বাসিন্দা জামাল উদ্দিন বলেন, ‘চার দিন আগেই ৬৮ টাকা দরে পেঁয়াজ নিয়ে গেছি। আজ কিনতে হয়েছে ৮৫ টাকায়।’
জানতে চাইলে খাতুনগঞ্জের হামিদুল্লাহ মিয়া মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইদ্রিস প্রথম আলোকে বলেন, প্রতিদিনের ব্যবধানে ৫ টাকা করে বেড়েছে পেঁয়াজের দাম। পাইকারি বাজারে ৭৫ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে বর্তমানে। সরকার ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দিলে পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ে দাম কমে যাবে।
আমদানি বন্ধকে পুঁজি করে বাজারে দাম বাড়িয়েছে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী।...বাজারে তদারকি ব্যবস্থা আরও জোরদার করে অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া উচিতএস এম নাজের হোসাইন, সহসভাপতি, কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ
এদিকে নগরের বহদ্দারহাট ও চকবাজার এলাকা ঘুরে দেখা যায়, প্রায় সব ধরনের সবজির কেজি ৬০ টাকার ওপরে। এর মধ্যে করলা ও ঢ্যাঁড়স বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১১০ টাকায়। এ ছাড়া বেগুন ৬০ থেকে ৬৫, চিচিঙ্গা ৬৫ থেকে ৭০, বরবটি ৮০ থেকে ৮৫ ও পটোল ৭৫ থেকে ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে।
মাছ-মাংসের বাজারেও দাম চড়া। বাজারে আকারভেদে প্রতি কেজি রুই-কাতলা বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৩২০ টাকায়। এ ছাড়া পাঙ্গাশ ১৮০ থেকে ২২০, তেলাপিয়া ১৮০ থেকে ২৫০ ও শিং ৫০০ থেকে ৫৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হয়েছে ২১০ থেকে ২২০ টাকায়। এ ছাড়া সোনালি ও লেয়ার মুরগি বিক্রি হয়েছে ৩২০ থেকে ৩৪০ টাকা। এক হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে হাড়ছাড়া গরুর মাংস।
কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সহসভাপতি এস এম নাজের হোসাইন প্রথম আলোকে বলেন, ‘পেঁয়াজ আমদানি বন্ধকে পুঁজি করে বাজারে দাম বাড়িয়েছে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী। ভোক্তা পর্যায়ে দাম না কমলে সাধারণ মানুষ ভোগান্তিতে পড়বে। বাজারে তদারকি ব্যবস্থা আরও জোরদার করে অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।’