তুরাগে বিস্ফোরণে দগ্ধ আরেকজনের মৃত্যু

শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট
ফাইল ছবি

রাজধানীর তুরাগের কামারপাড়ায় ভাঙারির দোকানে বিস্ফোরণে দগ্ধ আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। তাঁর নাম শফিকুল ইসলাম (৩২)। তাঁকে নিয়ে ওই ঘটনায় দগ্ধ আটজনের মধ্যে সাতজনের মৃত্যু হলো। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন আরেকজন। তাঁর অবস্থাও আশঙ্কাজনক।

আজ মঙ্গলবার রাত সাড়ে আটটার দিকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শফিকুলের মৃত্যু হয়। ইনস্টিটিউটের চিকিৎসক এস এম আইউব হোসেন প্রথম আলোকে এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, শফিকুল ইসলামের শরীরের ৮০ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মো. শাহীন নামে অন্য তরুণের অবস্থাও আশঙ্কাজনক।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া জানান, ময়নাতদন্তের জন্য শফিকুলের লাশ ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে রাখা হয়েছে। তাঁর গ্রামের বাড়ি নীলফামারী জেলার জলঢাকা উপজেলায়। বাবার নাম মজিবুর রহমান।

গত শনিবার এ বিস্ফোরণে দগ্ধ আটজনকে হাসপাতালে আনা হয়েছিল। ওই দিন রাতেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় নূর হোসেন (৬০), গাজী মাজহারুল ইসলাম (৪৫) ও আলমগীর হোসেন (২৩) মারা যান। পরদিন রোববার রাতে মারা যান মিজানুর রহমান (৩৫) নামের একজন। আর গতকাল রাতে মারা যান মাসুম আলী (৩৫) ও আল আমিন (৩০)।

মেয়াদোত্তীর্ণ হ্যান্ড স্যানিটাইজার বের করে বোতল খালি করার সময় এ বিস্ফোরণ ঘটে বলে প্রাথমিক তদন্তের ভিত্তিতে মনে করছেন পুলিশ কর্মকর্তারা। তবে ঘটনা কীভাবে ঘটেছে, সে বিষয়ে এখনো নিশ্চিত হতে পারেননি তাঁরা। এ ঘটনার তিন দিন পেরিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত মামলা হয়নি।

পুলিশের উত্তরা বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মোহাম্মদ মোর্শেদ আলম প্রথম আলোকে বলেন, গ্যারেজ ও ভাঙারির দোকানের মালিক নিজেই ভুক্তভোগী হয়েছেন। গ্যারেজে দাহ্য উপাদান কীভাবে গেছে, সেটি এখন অনুসন্ধান করা হচ্ছে। সেখানে ঘটনা কেন ঘটেছে, কীভাবে ঘটেছে, কারা দায়ী—এসব বিষয়ে অনুসন্ধান করে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।