তৌফিকা করিমের সাড়ে ৫৬ কোটি টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ, মামলা অনুমোদন
জ্ঞাত আয়ের বাইরে ৫৬ কোটি ৬১ লাখ ৫৬ হাজার ২৯৮ টাকার সম্পদ অর্জন এবং মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে আইনজীবী তৌফিকা করিমের বিরুদ্ধে মামলার অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
আজ শনিবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সংস্থাটির উপপরিচালক (জনসংযোগ) আকতারুল ইসলাম এ কথা জানান।
তৌফিকা করিমের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা চেয়ে গত ৬ ফেব্রুয়ারি দুদক আদালতকে লিখিতভাবে জানিয়েছিল, তৌফিকা করিম সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের আস্থাভাজন ও বিশ্বস্ত। তিনি তদবির-বাণিজ্যসহ দুর্নীতির মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে দুদকের উপপরিচালক আকতারুল ইসলাম বলেন, তৌফিকা করিমের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়ের বাইরে বিপুল পরিমাণ সম্পদ অর্জন এবং মানি লন্ডারিংয়ের সুস্পষ্ট প্রমাণ পাওয়া গেছে। কমিশনের অনুমোদনক্রমে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে।
দুদকের অনুসন্ধানে দেখা যায়, তৌফিকা করিমের নামে ৫৯ কোটি ২৩ লাখ ৬৪ হাজার ২৪ টাকার সম্পদের তথ্য পাওয়া গেছে। এর বিপরীতে বৈধ আয়ের উৎস রয়েছে মাত্র ২ কোটি ৬২ লাখ ৭ হাজার ৭২৬ টাকা। এই হিসাবে জ্ঞাত আয়ের বাইরে অর্জিত সম্পদের পরিমাণ দাঁড়ায় ৫৬ কোটি ৬১ লাখ টাকা।
দুদক আরও জানিয়েছে, তৌফিকা করিমের নামে থাকা ৮৮টি ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে ২০১ কোটি ৮৮ লাখ টাকা জমা এবং ১৭২ কোটি ৬২ লাখ টাকা উত্তোলনসহ মোট ৩৭৪ কোটি ৫১ লাখ টাকার আর্থিক লেনদেনের তথ্য পাওয়া গেছে, যা মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২-এর আওতায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ।