প্রধানমন্ত্রী ‘স্মার্ট দেশ’ গড়তে যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসায়ীদের সহযোগিতা চাইলেন

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ ব্যবসায়ী পরিষদের প্রতিনিধিদল। প্রতিনিধি দলটির নেতৃত্ব দেন পরিষদের চেয়ারম্যান স্টিভেন কোবোস

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবনে যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ ব্যবসায়ী পরিষদের প্রতিনিধিদলের উদ্দেশে বক্তব্য দেন। ঢাকা, ২৭ মে
ছবি: পিআইডি

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে একটি ‘উন্নত ও স্মার্ট’ দেশে পরিণত করতে যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসায়ীদের সহযোগিতা চেয়েছেন। তিনি বলেন, ‘২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত, সমৃদ্ধ ও স্মার্ট বাংলাদেশের অগ্রযাত্রায় অংশীদার হওয়ার জন্য আমি আপনাদের আহ্বান জানাচ্ছি।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ সোমবার সকালে গণভবনে যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ ব্যবসায়ী পরিষদের একটি প্রতিনিধিদল সৌজন্য সাক্ষাতে এলে তাদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী এ আহ্বান জানান।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা ২০৪১ সালের মধ্যে একটি “স্মার্ট নেশন” হয়ে উঠতে আকাঙ্ক্ষা পোষণ করি। আমাদের বৈশ্বিক প্রতিযোগিতা বাড়াতে এবং রপ্তানির ভিত্তি সম্প্রসারণে আপনাদের সমর্থন প্রয়োজন।’ তিনি বলেন, বাংলাদেশ ২০২৬ সালে ‘স্বল্পোন্নত’ থেকে ‘উন্নয়নশীল’ দেশে পরিণত হবে।

সরকারপ্রধান বলেন, কয়েক দশক ধরে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের জন্য একটি প্রধান অর্থনৈতিক ও উন্নয়ন সহযোগী। উভয় দেশের অনেক ক্ষেত্রেই নিবিড় সম্পৃক্ততা রয়েছে, বিশেষ করে, বাণিজ্য ও বিনিয়োগে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের যৌথ লক্ষ্য হলো জনগণের জন্য পারস্পরিক সুবিধা ও সমৃদ্ধি অর্জন করা। এটি আমাদের ক্রমবর্ধমান দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য এবং জনগণের মধ্যে মিথস্ক্রিয়ায় প্রকাশ পেয়েছে।’

আগামী দিনে দুই দেশের অর্থনৈতিক সম্পৃক্ততা আরও বাড়বে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন প্রধানমন্ত্রী। প্রতিনিধিদলের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আমি আপনাদের আমাদের উচ্চ সম্ভাবনাময় ক্ষেত্র, যেমন নবায়নযোগ্য জ্বালানি, জাহাজ নির্মাণ, অটোমোবাইলস, ফার্মাসিউটিক্যালস, হালকা ও ভারী যন্ত্রপাতি, রাসায়নিক সার, তথ্যপ্রযুক্তি, সামুদ্রিক সম্পদ আহরণ, চিকিৎসা সরঞ্জামসহ প্রভৃতি ক্ষেত্রে বিনিয়োগের আমন্ত্রণ জানাচ্ছি।’
প্রধানমন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র–বাংলাদেশ ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদল আমাদের দুই বন্ধুপ্রতিম দেশের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সহযোগিতার অগ্রগতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।’ তিনি বলেন, তাঁর সরকার দেশে ১০০টি ‘বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল’ (এসইজেড) এবং ২৮টি হাইটেক পার্ক প্রতিষ্ঠা করেছে। এর মধ্যে কয়েকটি চালু রয়েছে। এ দেশে বিনিয়োগে প্রতিযোগিতামূলক মজুরিতে একটি তরুণ, দক্ষ ও প্রাণবন্ত কর্মশক্তির প্রাপ্যতা একটি বিশাল সুবিধা বলে তিনি উল্লেখ করেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশে এই অঞ্চলের সবচেয়ে উদার বিনিয়োগ নীতির মর্যাদা রয়েছে। আমরা বিনিয়োগ পরিবেশের উন্নতিতে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিচ্ছি।’

যুক্তরাষ্ট্র–বাংলাদেশ ব্যবসায়ী পরিষদের চেয়ারম্যান স্টিভেন কোবোস স্বাগত বক্তব্য দেন। পরিষদের প্রেসিডেন্ট সাবেক রাষ্ট্রদূত অতুল কেসাপ ধন্যবাদ প্রস্তাব উত্থাপন করেন।

প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান, বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম ও অ্যাম্বাসেডর এট লার্জ মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন এ সময় উপস্থিত ছিলেন। প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব এম তোফাজ্জল হোসেন মিয়া অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন।