স্বাধীনতা রক্ষায় সশস্ত্র বাহিনীর সার্বিক উন্নয়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কলাপাড়ায় বিএনএস শের-ই-বাংলার নবনির্মিত ঘাঁটি, ৪১টি পিসিএসের ৪টি জাহাজ ও ৪টি এলসিইউর কমিশনিং অনুষ্ঠানে ভার্চু৵য়ালি যুক্ত হয়ে বক্তব্য দেন। ঢাকা, ১২ জুলাই
ছবি: পিআইডি

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সরকার শুধু দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য সশস্ত্র বাহিনীর সার্বিক উন্নয়নের উদ্যোগ নিয়েছে। কারও সঙ্গে কোনো ধরনের যুদ্ধে জড়ানোর ইচ্ছা বাংলাদেশের নেই।

পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়ায় আজ বুধবার বিএনএস শের-ই-বাংলার নবনির্মিত ঘাঁটি, ৪১টি পিসিএসের ৪টি জাহাজ ও ৪টি এলসিইউর কমিশনিং অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে ভার্চু৵য়ালি অনুষ্ঠানে যোগদান করেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা প্রকৃতপক্ষে কারও সঙ্গে যুদ্ধে জড়াতে চাই না। আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি শুধু আমাদের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা করা।’ তিনি বলেন, সরকার নৌবাহিনীসহ সশস্ত্র বাহিনীর উন্নয়নে পদক্ষেপ নিয়েছে, ফলে তারা আন্তর্জাতিক স্তরের যোগ্যতা ও মান অর্জনের মাধ্যমে দক্ষ হয়ে উঠেছে।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা সেই উদ্দেশ্যে বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছি।’ এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, হেলিকপ্টার কেনার পাশাপাশি সাগরে নজরদারি ও নিরাপত্তা জোরদার করতে বেশ কয়েকটি যুদ্ধজাহাজ নির্মাণের কাজ চলছে।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন নৌবাহিনীর প্রধান অ্যাডমিরাল এম শাহীন ইকবাল।

শুরুতেই বিএনএস শের–ই–বাংলা, ৪১ পিসিএসের ৪টি জাহাজ ও ৪টি এলসিইউর ওপর একটি অডিও-ভিজ্যুয়াল ডকুমেন্টারি প্রদর্শিত হয়।

কমিশনিং অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে নৌবাহিনীর প্রধান অ্যাডমিরাল এম শাহীন ইকবাল বিএনএস শের-ই-বাংলার বেস কমান্ডার এবং চারটি জাহাজের কমান্ডার এবং ৪১ পিসিএসের চারটি এলসিইউর কাছে কমিশনিং ফরমান হস্তান্তর করেন।

প্রধানমন্ত্রী বিএনএস শের-ই-বাংলা ঘাঁটি এবং ৪১ পিসিএসের ৪টি জাহাজ ও ৪টি এলসিইউর নামফলক উন্মোচন করেন। পরে এই প্রথমবারের মতো নৌ-ঐতিহ্য অনুযায়ী বিএনএস শের-ই-বাংলা ঘাঁটি, চারটি জাহাজ এবং চারটি এলসিইউতে জাতীয় পতাকা ওড়ানো হয়, যা নৌবাহিনীতে ‘রঙ’ নামে পরিচিত।