প্রথম আলোর প্রতিনিধি মোশাররফের ওপর হামলার সুষ্ঠু তদন্ত দাবি সিপিজের

কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিস্টস (সিপিজে)
ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষকে অবিলম্বে প্রথম আলোর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি মোশাররফ শাহের ওপর হামলার ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করতে বলেছে সাংবাদিকদের অধিকার রক্ষায় সোচ্চার বৈশ্বিক সংগঠন কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিস্টস (সিপিজে)। একই সঙ্গে হামলায় জড়িতদের বিচারের আওতায় আনতে বলেছে সংগঠনটি।

আজ শুক্রবার সিপিজের ওয়েবসাইটে এ বিষয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। বাংলাদেশ জার্নালিস্টস ইন ইন্টারন্যাশনাল মিডিয়া (বিজেআইএম) এবং ভুক্তভোগী সাংবাদিকের বরাতে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, গত ২৪ সেপ্টেম্বর মোশাররফ শাহর ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। এর আগে মোশাররফ শাহ ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখার অভ্যন্তরীণ কোন্দল ও সংঘর্ষের বিষয়ে ধারাবাহিক প্রতিবেদন প্রকাশ করে আসছিলেন। মারধরের সময় তাঁকে ছাত্রলীগ নিয়ে সংবাদ না করার জন্য হুমকি দিয়েছেন হামলাকারীরা। এ ঘটনার পর বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্ত করা হলে ক্যাম্পাসে উত্তেজনা আরও বাড়ে।

সিপিজে সাংবাদিকদের ওপর ছাত্রলীগের অসংখ্য হামলার ঘটনা নথিভুক্ত করেছে উল্লেখ করে প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ২৮ সেপ্টেম্বর মোশাররফ শাহ তাঁর ওপর হামলাকারী ছয়জনকে শনাক্ত করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন। কিন্তু এ পর্যন্ত কেউ গ্রেপ্তার হননি, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষও কারও বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়নি, এতে তিনি ক্যাম্পাসে ফেরা নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন।

প্রতিবেদনে সংগঠনের এশিয়া প্রোগ্রাম সমন্বয়কারী বেহ লিহ ইকে উদ্ধৃত করে বলা হয়, মোশাররফ শাহকে প্রচণ্ড মারধরের ঘটনায় ছাত্রলীগের জড়িত থাকার অভিযোগ উদ্বেগজনক। পুলিশকে অবশ্যই এই হামলার সঙ্গে জড়িত অপরাধীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করতে হবে এবং গণমাধ্যমের ওপর ছাত্রলীগের হামলার বিষয়ে নিষ্ক্রিয়তার অবসান ঘটাতে হবে। মোশাররফ শাহ যাতে নিরাপদে ক্যাম্পাসে ফিরতে পারেন এবং ভয় ছাড়াই সাংবাদিকতা চালিয়ে যেতে পারেন তা সরকার ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে নিশ্চিত করতে হবে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, চট্টগ্রাম পুলিশ সুপার এস এম শফিউল্লাহ সিপিজেকে বলেছেন হামলার ঘটনার তদন্ত চলছে এবং একজন পুলিশ কর্মকর্তা মোশাররফ শাহর সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলেছেন। যদিও সিপিজের সংবাদটি প্রকাশের সময় পর্যন্ত পুলিশের কেউ তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করেননি বলে জানিয়েছেন মোশাররফ।