‘লাশ হয়ে ফিরলেন ৭১৪ নারী’ শিরোনামে গত ৩০ জানুয়ারি প্রথম আলোতে প্রতিবেদন ছাপা হয়। এটি যুক্ত করে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা চেয়ে বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতি ওই রিট করে। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী নাহিদ মাহতাব, সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী রুমানা হক ও সোনিয়া সরদার। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সমরেন্দ্র নাথ বিশ্বাস।
বিদেশে শ্রমিকদের কল্যাণের দিক তদারকি করতে এবং কাউন্সেলিংয়ের মতো সুযোগ–সুবিধাসহসংবলিত পর্যাপ্তসংখ্যক শেল্টার হোম দেশে–বিদেশে প্রতিষ্ঠায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, সে বিষয়েও রুলে জানতে চাওয়া হয়েছে।
পরে আইনজীবী নাহিদ মাহতাব প্রথম আলোকে বলেন, আইন অনুসারে দেশের অভিবাসী শ্রমিকদের দায়িত্বপ্রাপ্ত দেশগুলোতে নিরাপত্তা–সুরক্ষা ও ন্যায়বিচার নিশ্চিতে পদক্ষেপ নিতে নিষ্ক্রিয়তা কেন বেআইনি হবে না, রুলে তা–ও জানতে চাওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে নারী অভিবাসী শ্রমিকের প্রতি বৈষম্য, যৌন নির্যাতন ও লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতার বিরুদ্ধে তাঁদের সুরক্ষায় সুনির্দিষ্ট নীতিমালা প্রণয়নের সুপারিশ করতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চাওয়া রুলে। প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব, পররাষ্ট্রসচিব, জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর মহাপরিচালক ও জাতীয় মানবাধিকার কমিশনসহ বিবাদীদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।