ডেঙ্গুতে স্বজন হারানো মানুষের আর্তনাদ শুনুন: পীর ফজলুর রহমান

পীর ফজলুর রহমান
ছবি: প্রথম আলো

ডেঙ্গুতে স্বজন হারানো পরিবারগুলোর আহাজারি কেউ শুনতে পাচ্ছেন না—এমন মন্তব্য করে সরকারের উদ্দেশে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য পীর ফজলুর রহমান বলেছেন, ‘সমন্বিত একটা ব্যবস্থা নেন। মানুষের আর্তনাদটা একটু শুনুন। মানুষের জীবন রক্ষার জন্য এগিয়ে আসুন।’

আজ বৃহস্পতিবার রাতে জাতীয় সংসদে ‘বাংলাদেশ চিকিৎসা শিক্ষা অ্যাক্রেডিটেশন বিল’ পাসের আলোচনায় অংশ নিয়ে পীর ফজলুর রহমান এসব কথা বলেন।

ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে কয়েক দিন আগে দুই ভাই–বোনের মৃত্যুর বিষয়টি তুলে ধরে পীর ফজলুর রহমান বলেন, ‘সেদিন এক পরিবারের দুই শিশু ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে। দুইটা মাসুম বাচ্চা, ভাই–বোন মারা গেল। এই আহাজারি, এই কান্না, আমার মনে হচ্ছে কেউ শুনতে পাচ্ছেন না। এটি ভয়াবহ।’

নিজে দুইবার ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন জানিয়ে জাতীয় পার্টির এই সংসদ সদস্য বলেন, এই মুহূর্তে বাংলাদেশে ডেঙ্গু পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। সারা দেশে মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হচ্ছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ করা স্থানীয় সরকারের কাজ। স্থানীয় সরকার পুরো দায়িত্ব নিচ্ছে না, তারা বলছে চিকিৎসার দায়িত্ব স্বাস্থ্য বিভাগের। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়কে যৌথ উদ্যোগ নিয়ে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।

চিরুনি অভিযান প্রয়োজন

বিলের আলোচনায় অংশ নিয়ে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য শামীম হায়দার পাটোয়ারী একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত প্রতিবেদনের তথ্য উল্লেখ করে বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে দুই শতাধিক সরকারি কর্মকর্তার বাড়ি পাওয়া গেছে। রাষ্ট্রের তো চিরুনি অভিযান প্রয়োজন, সরকারের, সরকারি দলের, সরকারের ভেতরের, আমলাতন্ত্রের, সব জায়গার। ওই সব কর্মকর্তা কীভাবে বাংলাদেশ থেকে টাকা পাঠালেন? এখান থেকে তো চিকিৎসা ও শিক্ষা ছাড়া কোনোভাবেই টাকা পাঠাতে পারবেন না। কোন চ্যানেলে টাকা পাঠানো হলো?
বিষয়টি তদন্তের জন্য একটি সর্বদলীয় সংসদীয় টাস্কফোর্স গঠনের দাবি জানান জাতীয় পার্টির এই সংসদ সদস্য।

বিল পাস

এর আগে বাংলাদেশ চিকিৎসা শিক্ষা অ্যাক্রেডিটেশন বিল পাসের জন্য সংসদে তোলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। বিলের ওপর আনা জনমত যাচাই, বাছাই কমিটিতে প্রেরণ ও সংশোধনী প্রস্তাবগুলো নিষ্পত্তি শেষে বিলটি কণ্ঠভোটে পাস হয়। বিলে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ চিকিৎসা শিক্ষা অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিল নামে একটি কাউন্সিল প্রতিষ্ঠা করা হবে। দেশি ও বিদেশি বিভিন্ন চিকিৎসা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে এই আইনের অধীনে অ্যাক্রেডিটেশন দেওয়া হবে। অ্যাক্রেডিটেশন সনদের মেয়াদ হবে পাঁচ বছর।