ফেনীর ছাগলনাইয়া থেকে ১০ বন্ধু ৫টি মোটরসাইকেলে করে সীতাকুণ্ডের আকিলপুর সৈকতে বেড়াতে যান। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে তাঁরা ফেরার পথে একটি মোটরসাইকেলে থাকা দুজন সবজিবোঝাই ভ্যানের সঙ্গে ধাক্কা লেগে সড়কে ছিটকে পড়েন। এ সময় ঢাকামুখী একটি কাভার্ড ভ্যান তাঁদের চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলে দুই তরুণ নিহত হন।
নিহত তরুণেরা হলেন ফেনী জেলার ছাগলনাইয়া উপজেলার মো. ইউনুস (১৮) ও মোহাম্মদ শাহজালাল (১৮)।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, যেখানে দুর্ঘটনা ঘটেছে, সেখানে সড়কের ওপর বালু স্তূপ করে রাখা আছে। সবজিবোঝাই একটি ভ্যান উল্টোপথে সেদিক দিয়ে যাচ্ছিল। ভ্যানটি বালুর স্তূপ দেখে রাস্তার পাশে সরে গেলে মোটরসাইকেলের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। এতে মোটরসাইকেলের আরোহী দুজনই ছিটকে সড়কে পড়ে যান। এ সময় দ্রুতগতির একটি কাভার্ড ভ্যান তাঁদের চাপা দিয়ে চলে যায়।
সরেজমিনে দেখা যায়, দুর্ঘটনাস্থলে স্থানীয় বাসিন্দাদের জটলা করেছেন। সেখানে সড়কের পাশে রাখা বিদ্যুতের খুঁটির ওপর বসে নিহত তরুণদের সহপাঠীদের কাঁদছেন। নিহত তরুণদের ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি সড়কের মাঝখানে পড়ে আছে। মরদেহ দুটি ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা উদ্ধার করেন। দুর্ঘটনার কারণে মহাসড়কে ঢাকামুখী লেনে যানজটের সৃষ্টি হয়।
নিহত তরুণদের বন্ধু রাতুল ও সান বলেন, তাঁদের পাঁচটি মোটরসাইকেল পাশাপাশি ছিল। হঠাৎ পেছনের একটি মোটরসাইকেল দেখতে না পেয়ে দুর্ঘটনাস্থলের কিছুটা দূরে গিয়ে তাঁরা দাঁড়িয়ে পড়েন। পরে তাঁদের দুটি মোটরসাইকেলে থাকা বন্ধুরা উল্টো দিকে এসে দুজনকে খুঁজতে থাকেন। পরে তাঁরা জানতে পারেন, তাঁদের দুই বন্ধু মারা গেছেন। নিহত দুজনের মধ্যে শাহজালাল স্থানীয় একটি মাদ্রাসার আলিম শ্রেণিতে, অন্যজন একটি কলেজে উচ্চমাধ্যমিক দ্বিতীয় বর্ষে পড়েন।
কুমিরা ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা সাবেক ইউপি সদস্য মো. মামুন বলেন, সড়কের ওপর বালুর স্তূপের কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে।
কুমিরা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের প্রধান দেলোয়ার হোসেন জানান, কাভার্ড ভ্যানের চাপায় মোটরসাইকেলের আরোহীরা নিহত হওয়ার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে তাঁরা দুজনের মরদেহ উদ্ধার করেছেন। হাইওয়ে পুলিশের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হবে।
বার আউলিয়া হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবদুল মুমিন প্রথম আলোকে বলেন, নিহত দুজনের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করেছে হাইওয়ে পুলিশ। নিহত তরুণদের পরিবারের সদস্যরা আসার পর প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।