আপনি কি দেশটাকে একটা ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করতে চান: সাংবাদিক নেতা কাদের গনি চৌধুরী

‘মব ভায়োলেন্সে আক্রান্ত বাংলাদেশ’ শীর্ষক প্রতিবাদ সভায় সাংবাদিক নেতাদের মধ্যে আছেন জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আইয়ুব ভূঁইয়া (ডায়াসে দাঁড়িয়ে বক্তব্য দিচ্ছেন), পাশে ইআরএফের সভাপতি দৌলত আরা, বিএফইউজের মহাসচিব কাদের গনি চৌধুরী ও ডিইউজের সভাপতি মো. শহিদুল ইসলাম। আজ সোমবার রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলেছবি: সাজিদ হোসেন

বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) মহাসচিব কাদের গনি চৌধুরী বলেছেন, গণমাধ্যমের ওপর আঘাত মানে গণতন্ত্রের ওপর আঘাত, রাষ্ট্রের অস্তিত্বের ওপর আঘাত। সেটি প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারে আঘাতের মধ্য দিয়ে লক্ষ করা গেছে।

প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার কার্যালয়ে হামলা ও আগুন এবং সম্পাদক পরিষদের সভাপতি নিউ এজের সম্পাদক নূরুল কবীরকে হেনস্তা করার প্রতিবাদে আয়োজিত প্রতিবাদ সভায় অংশ নিয়ে সাংবাদিক নেতা কাদের গনি চৌধুরী এসব কথা বলেন। আজ সোমবার রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে ‘মব ভায়োলেন্সে আক্রান্ত বাংলাদেশ’ শীর্ষক এই যৌথ প্রতিবাদ সভার আয়োজন করে সংবাদপত্রের সম্পাদকদের সংগঠন সম্পাদক পরিষদ ও নোয়াব।

প্রতিবাদ সভায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা, পেশাজীবী সংগঠন, ব্যবসায়ী সংগঠন, সাংবাদিক সংগঠন ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ সংহতি জানাতে আসেন। প্রতিবাদ সভা শেষে সোনারগাঁও হোটেলের পাশের রাস্তায় দাঁড়িয়ে মানববন্ধন করেন তাঁরা।

বিএফইউজের মহাসচিব কাদের গনি চৌধুরী বলেন, গণমাধ্যম হচ্ছে গণতন্ত্রের চোখ। সরকার একেবারে ভেতর থেকে রাষ্ট্রকে দেখতে পারে গণমাধ্যমের মধ্য দিয়ে। এই গণমাধ্যমের ওপর আঘাত মানে গণতন্ত্রের ওপর আঘাত। এই গণমাধ্যমের ওপর আঘাত মানে রাষ্ট্রের অস্তিত্বের ওপর আঘাত। সেটা প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারে আঘাতের মধ্য দিয়ে লক্ষ করা গেছে।

রাষ্ট্রের কাছে প্রশ্ন রেখে কাদের গনি চৌধুরী বলেন, ‘এই ঘটনা ঘটার পরেও তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হলো না কেন? রাষ্ট্রের কাজটা কী, এই সরকারের কাজটা কী? আপনি কি একটা ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করতে চান দেশটাকে?’

প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারের ওপর এই আঘাত বাঙালি জাতিসত্তার ওপর আঘাত, সংস্কৃতির ওপর আঘাত বলে মন্তব্য করেন জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আইয়ুব ভূঁইয়া।

সাংবাদিকদের ঐক্যের ওপর গুরুত্বারোপ করে বক্তব্য দেন ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) সভাপতি মো. শহিদুল ইসলাম।