দুপুরে হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত, বিকেলে জেলা রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে মামলা

দুদক

দুদকের এক নোটিশ নিয়ে গাজীপুরের সাবেক জেলা রেজিস্ট্রার অহিদুল ইসলামের করা রিটের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট আদেশ দিয়েছিলেন। এই আদেশ আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে স্থগিত করেন আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি। এর কয়েক ঘণ্টার মধ্যে তাঁর বিরুদ্ধে সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা করে দুদক।
অহিদুল ইসলাম বর্তমানে ঢাকা জেলার রেজিস্ট্রার। আজ বেলা সাড়ে তিনটার দিকে তাঁর বিরুদ্ধে দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় (সজেকা) ঢাকা-১–এ মামলা করা হয়।

দুদকের আইনজীবীর তথ্যমতে, ২০২১ সালে সম্পদের বিবরণী দাখিলের জন্য অহিদুলকে নোটিশ দেয় দুদক। পরে তিনি সম্পদ বিবরণী দাখিল করেন। অনুসন্ধানে তাঁর বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার করে ঘুষ দাবি ও দুর্নীতির মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ পাওয়া যায়। এ বিষয়ে বক্তব্য শুনতে চলতি বছরের ২৩ ফেব্রুয়ারি দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) অহিদুল ইসলামকে নোটিশ দেয়। নোটিশে অহিদুলকে গত ১ মার্চ বেলা ১১টায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে হাজির হতে বলা হয়। এই নোটিশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন অহিদুল। এর প্রাথমিক শুনানি নিয়ে হাইকোর্টের একটি দ্বৈত বেঞ্চ ১১ সেপ্টেম্বর রুল দিয়ে নোটিশের কার্যক্রম স্থগিত করেন।

হাইকোর্টের এ আদেশ স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগে দুদক আবেদন করে। আবেদনের শুনানি নিয়ে আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম হাইকোর্টের আদেশ আট সপ্তাহের জন্য স্থগিত করেন। আদালতে দুদকের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।

পরে আইনজীবী খুরশীদ আলম খান প্রথম আলোকে বলেন, ‘অভিযোগ বিষয়ে অহিদুল ইসলামের বক্তব্য শুনতে যে নোটিশ দেওয়া হয়েছিল, তার পরিপ্রেক্ষিতে তিনি দুদকে হাজির হয়ে বক্তব্য ও লিখিত ব্যাখ্যা দিয়েছেন। এ সত্ত্বেও গত ২৩ ফেব্রুয়ারি দেওয়া ওই নোটিশ চ্যালেঞ্জ করে তিনি হাইকোর্টে রিট করেন। হাইকোর্ট রুল দিয়ে নোটিশের কার্যক্রম স্থগিত করেন। যে কারণে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করা যাচ্ছিল না। আজ দুপুর ১২টার দিকে চেম্বার আদালত হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করেন। বেলা সাড়ে তিনটার দিকে অহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করা হয়।’

অহিদুলের বিরুদ্ধে দুদকের প্রধান কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ জিন্নাতুল ইসলাম মামলাটি করেছেন। এজাহারে অহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে তাঁর দাখিল করা সম্পদ বিবরণীতে ৯৪ লাখ ৫০ হাজার টাকার সম্পদের মিথ্যা তথ্য বা ভিত্তিহীন তথ্য দাখিল এবং জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ ১ কোটি ২১ লাখ ৫৫ হাজার ৬৪৯ টাকার সম্পদ ভোগদখলে রাখার অভিযোগ আনা হয়েছে। আর ঘটনার সময়কাল ২০০০ থেকে ২০২১ সালের ৮ নভেম্বর পর্যন্ত উল্লেখ করা হয়েছে।