সরকারি চাকরিতে কোটা পুনর্বহালে ইউট্যাবের উদ্বেগ

রাজধানীর শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নিয়েছেন কোটাবিরোধী আন্দোলনকারীরা। ঢাকা, ৪ জুলাই
ছবি: শুভ্র কান্তি দাশ

সরকারি চাকরিতে কোটাব্যবস্থা পুনর্বহাল হওয়ায় উদ্বেগ জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়শিক্ষকদের সংগঠন ইউনিভার্সিটি টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ইউট্যাব)। একই সঙ্গে কোটাপ্রথা বাতিলের দাবিতে শিক্ষার্থীদের চলমান আন্দোলনে সমর্থন জানিয়েছে সংগঠনটি।

আজ বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে বিষয়টি নিয়ে এ অবস্থান জানিয়েছেন ইউট্যাবের সভাপতি অধ্যাপক এ বি এম ওবায়দুল ইসলাম ও মহাসচিব অধ্যাপক মো. মোর্শেদ হাসান খান।

বিবৃতিতে ইউট্যাব বলেছে, একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম দেশে কোটা কখনোই মেধার বিকল্প হতে পারে না। সুতরাং চাকরিপ্রত্যাশী ও শিক্ষার্থীরা সরকারি চাকরিতে কোটা ব্যবস্থা বাতিলের দাবিতে যে আন্দোলন করছেন, তা শুধু প্রাসঙ্গিক নয়, অত্যন্ত ন্যায্য ও যৌক্তিক।

শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে ২০১৮ সালে কোটাপদ্ধতি সংশোধন করে পরিপত্র জারি করে সরকার। কিন্তু গত ৫ জুন সরকারি দপ্তর, স্বায়ত্তশাসিত বা আধা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান ও বিভিন্ন করপোরেশনের চাকরিতে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে (৯ম থেকে ১৩তম গ্রেড) মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলের পরিপত্র অবৈধ ঘোষণা করে রায় দেন হাইকোর্ট।

আরও পড়ুন

ওই রায় স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষ আবেদন করে, যা গত ৯ জুন চেম্বার আদালতে ওঠে। সেদিন চেম্বার আদালত আবেদনটি আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে ৪ জুলাই শুনানির জন্য নির্ধারণ করেন। কিন্তু আজ হাইকোর্টের দেওয়া রায় স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষের করা আবেদনের শুনানি মুলতবি হয়েছে। রিট আবেদনকারীপক্ষের সময়ের আরজির পরিপ্রেক্ষিতে আপিল বিভাগ ‘নট টুডে’ (আজ নয়) বলে আদেশ দিয়েছেন। প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন ছয় সদস্যের আপিল বিভাগ এ আদেশ দেন।

কয়েক দিন ধরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে সরকারি চাকরিতে কোটাব্যবস্থা বাতিল করে ২০১৮ সালে সরকারের জারি করা পরিপত্র পুনর্বহালের দাবিতে শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রত্যাশীরা আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন।

বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ১১৩ শিক্ষক ইউট্যাবের বিবৃতিতে সই করেছেন। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মো. আবদুর রশিদ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মো. শামসুল আলম, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মো. ছবিরুল ইসলাম হাওলাদার, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মো. নসরুল কাদির, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মো. আবুল হাসেম, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক জি কে এম মোস্তাফিজুর রহমান, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মো. এমতাজ হোসেন, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মো. সাজেদুল করিম, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক জামিলুর রহমান, হাজী দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মো. নওশের ওয়ান প্রমুখ।

সরকারি চাকরিতে কোটা পুনর্বহালে উদ্বেগ জানিয়েছে ইউট্যাব
ছবি: সংগৃহীত
আরও পড়ুন