পরিকল্পিত আধুনিক আবাসনের নিশ্চয়তা: শেল্‌টেক্‌ –এর সঙ্গে নিশ্চিন্তে পথচলা

স্থাপত্যশৈলী, সুবিধাজনক অবস্থান এবং পরিকল্পিত নকশার মিশেলে গড়া প্রকল্প শেল্‌টেক্ ক্রিমসন প্যালেসছবি: শেল্‌টেক্‌ –এর সৌজন্যে

রোজকার মতোই শহরবাসীর দিন শুরু হয় গাড়ির হর্ন, হুড়োহুড়ি আর নিরন্তর ট্রাফিক জ্যামের ভিড়ে। হাঁটতে চাইলেও ফুটপাতে জায়গা নেই, শান্তিতে বুক ভরে নিঃশ্বাস নেওয়ার নেই উপায়। শরীরকে ফিট রাখতে জিমে যাওয়ার ইচ্ছা থাকলেও, অফিসের পর সন্ধ্যার তীব্র যানজট আর ক্লান্তির ভারে সুযোগ হয়ে ওঠে না।

স্কুল থেকে ফিরে শিশুরাও এখন ভিডিও গেমস আর ফোনের স্ক্রিনে বন্দী। শহরে তাদের জন্য নিরাপদে খেলার মাঠ কিংবা ছুটোছুটির জায়গা নেই বললেই চলে। আর নগরায়ণের এই ধারা বয়স্কদেরও ঠেলে দিচ্ছে চার দেয়ালের গণ্ডির মধ্যে, ঘরে নেই প্রাকৃতিক আলো–বাতাসের পর্যাপ্ত প্রবাহ, নেই হাঁটাহাঁটি করার মতো খোলা জায়গা বা সামাজিক সম্পর্ক গড়ে তোলার জন্য প্রাণবন্ত পরিসর।

শহরের ব্যস্ততা, কাজের চাপ আর নিত্য রুটিনে আবদ্ধ মানুষগুলো খুঁজে ফেরে একটু শান্তি, নিরাপত্তা এবং নাগরিক সুযোগ-সুবিধাসম্পন্ন, খোলামেলা ও প্রাকৃতিক আলো বাতাসে পরিপূর্ণ আধুনিক আবাসন। এই ভাবনাকে সামনে রেখে বাংলাদেশের স্বনামধন্য ও বিশ্বস্ত আবাসন প্রতিষ্ঠান শেল্‌টেক্ ঢাকার প্রাণকেন্দ্র বড় মগবাজারে নির্মাণ করছে একটি আধুনিক আবাসিক প্রকল্প ‘শেল্‌টেক্‌ ক্রিমসন প্যালেস’। উন্নত নির্মাণশৈলী, পরিকল্পিত নকশা, আধুনিক জীবনধারা এবং নাগরিক সুযোগ-সুবিধার এক অনবদ্য সমন্বয়ে গড়ে উঠছে এই স্বনির্ভর কমিউনিটি আবাসন প্রকল্পটি।

মগবাজারে আধুনিক নাগরিক জীবনযাত্রার নতুন ঠিকানা শেল্‌টেক্ ক্রিমসন প্যালেস
ছবি: শেল্‌টেক্‌–এর সৌজন্যে

স্থাপত্যশৈলীতে আধুনিকতা

শহরের অন্যতম সেরা লোকেশন বড় মগবাজারে প্রায় ৩৮ দশমিক ৫৫ কাঠা জমির ওপর নির্মিতব্য এই ১০ তলা ভবনে রয়েছে মোট ৮৭টি ইউনিট। ১ হাজার ৩১০ থেকে ১ হাজার ৮১০ বর্গফুট আয়তনের এই ইউনিটগুলো বিভিন্ন পরিবারের চাহিদা অনুযায়ী পরিকল্পনা করা হয়েছে। তাই এখানে কাঙ্ক্ষিত অ্যাপার্টমেন্টটি খুঁজে পেতে বেগ পেতে হবে না। শেল্‌টেক্‌ ক্রিমসন প্যালেসে প্রতি বর্গফুট জায়গার সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করা হয়েছে। নকশায় গুরুত্ব পেয়েছে প্রাকৃতিক আলো ও বায়ু চলাচলের জন্য পর্যাপ্ত ব্যবস্থা।

প্রতিটি অ্যাপার্টমেন্টে রয়েছে তিনটি বেডরুম, খোলামেলা লিভিং ও ডাইনিং স্পেস, প্রশস্ত বারান্দা। সেই সঙ্গে রয়েছে তিনটি করে বাথরুম, যেগুলো হুইলচেয়ার ব্যবহারকারীরাও সহজে ব্যবহার করতে পারেন। সবকিছুই এমনভাবে ডিজাইন করা হয়েছে, যেন শহরের ব্যস্ত জীবনে আরাম ও সুবিধা মেলে। ভবনটি রাজউক ও বিএনবিসির সব নিয়ম মেনে নির্মিতব্য, যা নিরাপদ ও টেকসই স্থাপত্যের নিশ্চয়তা প্রদান করে।

আধুনিক জীবনযাত্রার সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা থাকছে শেল্‌টেক্ ক্রিমসন প্যালেসে
ছবি: শেল্‌টেক্‌–এর সৌজন্যে

ভবনে থাকছে আধুনিক সুযোগ–সুবিধা

শেল্‌টেক্‌ ক্রিমসন প্যালেসের বাফার স্পেসকে কাজে লাগিয়ে নিচতলায় তৈরি করা হচ্ছে শিশুদের জন্য একটি খেলার জায়গা, যা তাদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বাচ্চাদের জন্য আরও রয়েছে সুইমিংপুল আর স্বাস্থ্যসচেতন বাসিন্দাদের জন্য রয়েছে আধুনিক জিমনেশিয়াম। এ ছাড়া ভবনে বাসিন্দাদের সামাজিক অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য রয়েছে কমিউনিটি স্পেস, বয়স্কদের জন্য রয়েছে নিরিবিলি ও শান্ত পরিবেশে নামাজের স্থানসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধা। সর্বোপরি, শেল্‌টেক্‌ ক্রিমসন প্যালেস গড়ে তোলা হচ্ছে একটি স্বনির্ভর কমিউনিটি আবাসন প্রকল্প হিসেবে, যেখানে সব বয়সের মানুষের প্রয়োজন ও স্বাচ্ছন্দ্যের বিষয়টি গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করা হয়েছে।

ভবনের ছাদে রয়েছে মনোরম ছাদবাগান। যাঁরা প্রতিদিন সকালে বা বিকেলে হাঁটতে ভালোবাসেন, তাঁদের জন্য ছাদে রয়েছে ওয়াকিং ট্র্যাক। পাশেই হাতিরঝিল লেক থাকার ফলে ছাদে থাকবে বুকভরে শ্বাস নেওয়ার মতো নির্মল বাতাস। ল্যান্ডস্কেপিং করা এই ছাদে আরও রয়েছে সিটিং অ্যারেঞ্জমেন্ট। বিশেষ উপলক্ষগুলোতে এখানেই হতে পারে একটি ছোট গেট–টুগেদার। পরিবার-পরিজন বা বন্ধুদের সঙ্গে বসে জম্পেশ আড্ডায় মেতে উঠতে এই সবুজেঘেরা ছাদ হতে পারে একটি চমৎকার যায়গা। সেই সঙ্গে বিকেলের নরম রোদে চায়ের কাপ হাতে এখান থেকেই দেখা যাবে হাতিরঝিলের মনোমুগ্ধকর দৃশ্য।

নিরাপত্তা ও নিরবচ্ছিন্ন সেবার পূর্ণ নিশ্চয়তা

শেল্‌টেক্‌ ক্রিমসন প্যালেসে নিরাপত্তার বিষয়টিতে দেওয়া হয়েছে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার। ভবনটিতে রয়েছে ২৪ ঘণ্টা নিরাপত্তাব্যবস্থা, সিসিটিভি এবং ইন্টারকম সুবিধা। এ ছাড়া ভবনের সামনে রয়েছে খোলা জায়গা, যা ভবনকে মূল সড়কের শব্দ ও কোলাহল থেকে আলাদা করে রাখে। ভবনে অভ্যর্থনার জন্য রয়েছে রিসেপশন এরিয়া। এ ছাড়া রয়েছে উন্নতমানের লিফট, ফায়ার সেফটি সিস্টেম এবং পর্যাপ্ত কার পার্কিং–সুবিধা। বিদ্যুৎ বিভ্রাটের সময়ে কাজ করার জন্য রয়েছে সম্পূর্ণ জেনারেটর ব্যাকআপ সিস্টেম।

ভবনের নকশায় স্থান পেয়েছে বাচ্চাদের জন্য খেলার যায়গা, সুইমিংপুলসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা
ছবি: শেল্‌টেক্‌–এর সৌজন্যে

সব কিছুই হাতের নাগালে

প্রকল্পটির সবচেয়ে আকর্ষণীয় দিকগুলোর একটি হলো এর অবস্থান। হাতিরঝিলের একেবারে সন্নিকটে অবস্থিত হওয়ায় এই প্রকল্প থেকে কারওয়ান বাজার, মৌচাক, মালিবাগ, বাংলামোটরসহ শহরের গুরুত্বপূর্ণ অফিস, ব্যাংক ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে সহজে যাতায়াত করা যাবে। এই প্রকল্পের আশপাশে রয়েছে স্বনামধন্য হাসপাতাল যেমন ডা. সিরাজুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, আদ-দ্বীন মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, হলি ফ্যামিলি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল।

শিশুদের পড়ালেখার জন্য কাছেই রয়েছে সেরা কিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান যেমন ভিকারুন্নিসা নূন স্কুল ও কলেজ, সিদ্ধেশ্বরী গার্লস স্কুল ও সিদ্ধেশ্বরী বয়েজ স্কুল। যাতায়াত–ব্যবস্থার দিক থেকে প্রকল্পটির হাতের নাগালেই রয়েছে রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাঘাট, যেমন মৌচাক-মগবাজার ফ্লাইওভার, ডিআইটি রোড ও আউটার সার্কুলার রোড।

স্থাপত্যশৈলী, সুবিধাজনক অবস্থান এবং পরিকল্পিত নকশার মিশেলে গড়া এই প্রকল্পটি সবদিক থেকেই একটি আধুনিক আবাসন প্রকল্প। নগরজীবনের সব চাহিদার কথা মাথায় রেখে ভবনের প্রতিটি স্কয়ারফিটকে সর্বোচ্চ ব্যবহার করে বাসিন্দাদের জন্য আধুনিক সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা হয়েছে। তাই নতুন ঠিকানার খোঁজে যাঁরা আছেন, তাঁদের জন্য শেল্‌টেক্‌ ক্রিমসন প্যালেস হতে পারে আধুনিক আবাসনের সেরা ঠিকানা।

শেল্‌টেক্‌ –এর প্রজেক্ট সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে কল করুন ১৬৫৫০ নম্বরে অথবা ভিজিট করুন www.sheltech-bd.com